Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Militant

ত্রিপুরায় ফের জঙ্গি সক্রিয়তা

ফোনে এক সাক্ষাৎকারে শ্রীবাস্তব জানান, ত্রিপুরায় এনএলএফটি জঙ্গিদের দুটি গোষ্ঠীর সক্রিয় হয়ে ওঠার পিছনে চিনা মদত রয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আগরতলা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৫৩
Share: Save:

দীর্ঘ সময় জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ থাকায় শান্তি ছিল ত্রিপুরায়। কিন্তু সম্প্রতি ফের রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিদের আনাগোনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন ডিজি ঘনশ্যাম মুরারি শ্রীবাস্তব। তাঁর সঙ্গে একমত রাজ্যের বর্তমান পুলিশ কর্তারাও। এই সক্রিয়তার পিছনে চিনের মদতে পুষ্ট চক্রের হাত দেখছেন শ্রীবাস্তব।

ফোনে এক সাক্ষাৎকারে শ্রীবাস্তব জানান, ত্রিপুরায় এনএলএফটি জঙ্গিদের দুটি গোষ্ঠীর সক্রিয় হয়ে ওঠার পিছনে চিনা মদত রয়েছে। ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে গত জুলাই মাসের শেষের দিকে এনএলএফটি-র কয়েক জন আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি অসমে গিয়ে অসম ও মণিপুরের জঙ্গিদের সঙ্গে বৈঠক করে। শ্রীবাস্তবের দাবি, ত্রিপুরার জনজাতি যুবকদের জঙ্গি সংগঠনের জন্য মায়ানমার ও বাংলাদেশের নানা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শ্রীবাস্তবের মতে, আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে জঙ্গিরা কার্যকলাপ শুরু করে দেবে। তাই তাদের মোকাবিলা করার জন্য ত্রিপুরা সরকারকে এখনই রণকৌশল স্থির করতে হবে। শ্রীবাস্তবের মতে, বাংলাদেশে চিনপন্থী রাজনৈতিক আদর্শের সমর্থকদের সংখ্যা বাড়ছে। তা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির পক্ষে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চিনপন্থীরাই বাংলাদেশ থেকে উত্তর-পূর্বের জঙ্গিদের মদত দেবেন।

কিছু দিন আগে বিএসএফ ত্রিপুরা সীমান্তে বিপুল পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র-সহ তিন জনকে পাকড়াও করেছিল। জেরায় তারা জানায়, তারা ওই অস্ত্র বাংলাদেশে পাচার করছিল। কিন্তু এক পুলিশ কর্তার মতে, ওই অস্ত্র আসলে এনএলএফটি-র উৎপল গোষ্ঠীর জন্য আনা হচ্ছিল। ধরা পড়ার পরে বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম করে ভারতের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ এর আগেও বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় অস্ত্র পাচারের চেষ্টা হয়েছে। প্রথমে তারা এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিম ত্রিপুরা ও খোয়াই জেলার সীমান্তের সুসুন্দা নালা এলাকা, অগস্ট মাসে খোয়াই জেলার মনাইবাড়ি, উনকোটি জেলার সাইদাবাড়ি এলাকা এবং উত্তর জেলার কাঞ্চনপুর দিয়ে বিভিন্ন ভাবে অস্ত্র ত্রিপুরায় আনার চেষ্টা করে তারা। মণিপুরের একটি জঙ্গি গোষ্ঠী মায়ানমার থেকে অস্ত্র অগস্ট মাসে ধলাই জেলার মনু ধুমাছরা তে এনএলএফটি-র হাতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্তা। তাঁর মতে, অস্ত্র পাচারের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের। এপ্রিল মাসে প্রভাথরী জমাতিয়া নামে এক এনএলএফটি জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে। সে ৬টি এ কে সিরিজের রাইফেল মায়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে রাজ্যে এনেছিল।

অন্য বিষয়গুলি:

Militant Tripura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy