ভারত-আমেরিকা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন। ছবি: পিটিআই
নয়াদিল্লিতে দাঁড়িয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিল আমেরিকা। ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আমেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়োর স্পষ্ট ঘোষণা, ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবসময়ই নয়াদল্লির পাশে থাকবে ওয়াশিংটন। করোনাভাইরাস নিয়েও চিনকে তোপ দেগেছেন পম্পেয়ো। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণার মুখে ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে চিনের বিরুদ্ধে পম্পেয়োর এই বার্তা কূটনৈতিক দিক থেকে নয়াদিল্লির জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
প্রতিরক্ষা ও সামরিক ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে এই ভারত-আমেরিকা ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকের আয়োজন। বৈঠকে যোগ দিতে সোমবার পম্পেয়োর সঙ্গে এসেছেন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক টি এসপার। ভারতের পক্ষে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে পম্পেয়ো বলেন, ‘‘সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় আমেরিকা সব সময় ভারতের পাশে থাকবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের পারস্পারিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসারিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব।’’
গত ৪ মে থেকে থেকে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রচুর সেনা মোতায়েন করেছিল বেজিং। তার জেরে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনার মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল। তার পর দু’দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সীমান্তে মোতায়েন সেনার সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই উত্তেজনা এখনও কমেনি। গালওয়ান ইস্যুতেও হোয়াইট হাউস যে নয়াদিল্লির পাশেই রয়েছে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন আমেরিকার বিদেশ সচিব। দিল্লিতে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে গিয়ে গালওয়ানে নিহত ২০ ভারতীয়ে সেনা জওয়ানকে শ্রদ্ধাও জানান পম্পেয়ো-এসপার।
আরও পড়ুন: এলাহাবাদ হাইকোর্টের নজরদারিতে হাথরস তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
জয়শঙ্কর-রাজনাথের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও এ দিন বৈঠক করেছেন পম্পেয়ো। সূত্রের খবর, প্রায় ৪০ মিনিটের ওই বৈঠকেও মূল আলোচ্য বিষয় ছিল পূর্ব লাদাখে চিনের আগ্রাসন। পম্পেয়ো বলেন, ‘‘আমাদের নেতা ও জনসাধারণ জানে যে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, স্বচ্ছতা, স্বাধীনতা, উন্নয়ন— এ সবের বন্ধু নয় চিনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)। আমি আনন্দিত যে, সিসিপি থেকে সমস্ত রকম বিপদের বিরুদ্ধে আমরা একযোগে কাজ করছি।’’
আরও পড়ুন: ফরিদাবাদে ‘লভ জিহাদ’, ভরদুপুরে কলেজের সামনেই তরুণীকে গুলি করে খুন
করোনাভাইরাস প্রথম চিন থেকে ছড়িয়েছিল। সেই সূত্রে চিনকে বারবার দোষারোপ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ল্যাবে তৈরি করা, মৃত-আক্রান্তের সঠিক পরিসংখ্যান বিশ্ববাসীর কাছে গোপন রাখা, আগেভাগে সতর্ক না করার মতো নানা অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে তুলেছেন ট্রাম্প। কোভিডের জেরে বেজিং-ওয়াশিংটন বাণিজ্যিক ভাটা পড়েছে। প্রেসিডেন্টের সুরেই কোভিড নিয়ে চিনকে আক্রমণ শানান পম্পেয়ো। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের পর থেকে আমেরিকা-চিন বাণিজ্যে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। চিন থেকেই করোনা ছড়িয়েছে বলেও শি চিনফিংকে নিশানা করেছেন পম্পেয়ো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy