Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

শিসের স্বীকৃতি চায় তেইশ পাহাড়ি গ্রাম

রেড মাওসুইত গ্রামের সর্দার, কিংটিউ খোংসেইয়ের দাবি, খাত-আর-স্নং এলাকায় মোট ৫৩টি গ্রাম আছে। তার মধ্যে কংথংকে নিয়ে ২৩টি গ্রামে এখনও শিশের আলাপচারিতার ধারা চলছে।

কংথং গ্রাম। নিজস্ব চিত্র

কংথং গ্রাম। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৯
Share: Save:

মেঘালয়ের শিস দিয়ে কথা বলা গ্রাম, কংথংয়ের নাম ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কেন্দ্রকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন বিহারের রাজ্যসভা সাংসদ রাকেশ সিংহ। তিনি নিজে শিলং থেকে চেরাপুঞ্জি যাওয়ার পথে ওই গ্রাম ঘুরে যান। ওই গ্রামের নাম ইউনেস্কোর কাছে পাঠানোর প্রস্তাব দেন তিনি।

কিন্তু তার প্রতিবাদ জানিয়েছে খাত-আর-স্নং এলাকার অন্য গ্রামবাসীরা। কারণ তাঁদের দাবি, শুধু কংথং নয়, ওই এলাকার আরও ২২টি গ্রামের মানুষ ওই একই সংস্কৃতির ধারক-বাহক। তাই একা কংথংয়ের স্বীকৃতি মেনে নেওয়া হবে না। শিলং থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে ওই এলাকা। গাড়ির পথ ছেড়ে হেঁটে পৌঁছতে হয় পাহাড়ি গ্রামগুলিতে। বংশানুক্রমে সেখানকার মানুষজন শিস দিয়েই কথা বলেন। তাঁদের নামও হয় শিসের সুরে। ইদানীং অবশ্য অনেকে লিখিত নাম রাখাও শুরু করেছেন।

রেড মাওসুইত গ্রামের সর্দার, কিংটিউ খোংসেইয়ের দাবি, খাত-আর-স্নং এলাকায় মোট ৫৩টি গ্রাম আছে। তার মধ্যে কংথংকে নিয়ে ২৩টি গ্রামে এখনও শিশের আলাপচারিতার ধারা চলছে। কিন্তু কংথং গ্রাম সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে বেশি পরিচিতি পেয়েছে। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আশপাশের গ্রামগুলিকে বাদ দিয়ে এই স্বীকৃতি ঠিক নয়।” রাকেশ সিংহ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ওই গ্রামে ঘুরতে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। উৎফুল্ল কংথংয়ের গ্রামবাসীরা তাঁর আগমনের অপেক্ষায় রয়েছেন। সেখানকার এক বৃদ্ধা ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদীকে অভ্যর্থনা সঙ্গীতের সুরও শিসে বেঁধে ফেলেছেন।

কিন্তু আশপাশের খ্রাং, ওয়ারবাহ সদের, বুদলাং মাওপাটের মতো গ্রামপ্রধানরা একযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, শুধু কংথংকে গুরুত্ব দেওয়া হলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সফর বয়কটের ডাক দেবেন। তাঁদের দাবি, গাড়ি চলার রাস্তা না থাকায় তাঁদের দুর্দশা চরমে। প্রতি বস্তা সিমেন্ট, চাল অনেক দামে তাঁদের কিনতে হয়। অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান। তাই শুধু শিস-সঙ্গীতকে তুলে না ধরে সেখানকার মানুষদের বাস্তব সমস্যাগুলি সমাধানেও মন দিক সরকার।

অন্য বিষয়গুলি:

UNESCO Meghalaya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy