বিএসপির অধিবেশনে মায়াবতী। ছবি: পিটিআই।
‘প্রতিশ্রুতি’ মেনেই পদক্ষেপ করলেন মায়াবতী। মঙ্গলবার লখনউয়ে বিএসপির জাতীয় কর্মসমিতির অধিবেশনে আবার সর্বসম্মতিক্রমে দলের সভানেত্রী পুনর্নির্বাচিত হলেন তিনি। অধিবেশনের শেষে দলের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে এ কতা জানানো হয়েছে।
প্রায় আট বছর আগে, ২০১৮ সালে মে মাসে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মায়াবতী জানিয়েছিলেন, শারীরিক ভাবে যত দিন সক্ষম থাকবেন, তত দিন তিনি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে থাকবেন। শুধু তা-ই নয়, আগামী ২০-২২ বছর দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনিই। সেই সঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী দু’দশকের মধ্যে কেউ যেন দলের সভাপতি হওয়ার স্বপ্ন না দেখেন।
ঘটনাচক্রে, সে সময়ই সক্রিয় রাজনীতিতে আবির্ভাব হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের দলিত নেত্রীর ভাইপো আকাশ আনন্দের। তিনি মায়াবতীর ‘উত্তরসূরি’ হতে চলেছেন বলে জল্পনাও শুরু হয়েছিল বিএসপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে। ৬৮ বছরের মায়াবতী চার বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। দু’দশক আগে বিএসপির প্রতিষ্ঠাতা কাঁসিরাম তাঁকে ‘রাজনৈতিক উত্তরসূরি’ মনোনীত করেছিলেন।
তবে গত এক দশকে মায়াবতীর দল উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে তার জনভিত্তি অনেকটাই খুইয়েছে। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে একটিও আসনে জিততে পারেনি তারা। ৪০৩ আসনের উত্তরপ্রদেশে বিধানসভায় বিএসপির বিধায়কসংখ্যা মাত্র এক! পুরনো দুর্নীতি মামলা থেকে বাঁচতে মায়াবতী গোপনে বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে চলছেন বলে গত এক দশকে বার বার অভিযোগ তুলেছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি), কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা।
প্রায় আড়াই দশকের পুরনো তিক্ততা ভুলে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আগে সমঝোতা করেছিল এসপি-বিএসপি। অখিলেশের তৎপরতাতেই যা সম্ভব হয়েছিল। এর পর অখিলেশের অনুরোধেই মুলায়মের বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালে জুন মাসের গেস্ট হাউসে হামলার অভিযোগ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মায়া। কিন্তু সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গ তুলে এসপিকে দুষেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy