Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Farmers Protest

জোর করে মিথ্যে বলিয়েছেন কৃষকেরা, বয়ান বদল করে দাবি সিংঘুতে ধৃত মুখোশধারীর

পুলিশের কাছে বয়ানে যোগেশ জানিয়েছেন, কৃষকেরা তাঁকে অপহরণ করেছিলেন। তার পর তাঁকে বেঁধে উল্টো করে বেদম মারধর করেন।

দিল্লির সিংঘু সীমান্তে সাংবাদিকদের সামনে ধৃত মুখোশধারী।

দিল্লির সিংঘু সীমান্তে সাংবাদিকদের সামনে ধৃত মুখোশধারী। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:০২
Share: Save:

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বয়ান বদল দিল্লির সিংঘু সীমান্তে ধৃত মুখোশধারীর। পুলিশ জানিয়েছে, ১৯ বছরের ওই মুখোশধারী যোগেশ হরিয়ানার সোনিপতের বাসিন্দা। আন্দোলনরত কৃষকরাই ছক কষে তাঁকে ফাঁসিয়েছেন বলে দাবি করলেন ওই মুখোশধারী। যোগেশের দাবি, অপহরণের পর মারধর করে, জোর করে মদ খাইয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মিথ্যে বলতে বাধ্য করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে সংবাদমাধ্যমের কাছে ৪ কৃষক নেতাকে খুনের কথা বললেও হরিয়ানা পুলিশের কাছে এমন বয়ানই দিয়েছেন দিল্লির সিংঘু সীমান্তে ধৃত যোগেশ।

প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র‌্যালি বানচাল করতে দিল্লির সিংঘু সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষক নেতাদের খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর মোবাইল ফোন থেকে বলবীর সিংহ রাজেওয়াল, বলদেব সিংহ সিরসা, কুলদীপ সাঁধু এবং জগজিৎ সিংহ নামে ৪ কৃষক নেতার ছবি পাওয়া গেলেও যোগেশের পাল্টা দাবি, কৃষকরাই এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। পুলিশের কাছে বয়ানে যোগেশ জানিয়েছেন, কৃষকেরা তাঁকে অপহরণ করেছিলেন। তার পর তাঁকে বেঁধে উল্টো করে বেদম মারধর করেন। জোর করে মদও খাওয়ানো হয়। এর পর সংবাদমাধ্যমের কাছে ভুয়ো বয়ান দিতেও বাধ্য করে। যোগেশের আরও দাবি, কৃষকেরা হুমকি দিয়েছিলেন, যে এ নিয়ে মুখ খুললে তাঁকে খুন করা হবে। সে কথা কেউ টেরও পাবেন না।

দিল্লির সিংঘু সীমান্তে কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষক নেতাদের খুনের অভিযোগে শুক্রবার রাতে ধরা পড়েছিলেন যোগেশ। ঘটনার সময় যোগেশ ও তাঁর সঙ্গীদের মুখ মুখোশে ঢাকা ছিল। এর পর রাতেই সংবাদমাধ্যমের কাছে কৃষক নেতাদের খুনের কথা জানান যোগেশ। কৃষকদের দাবি, হরিয়ানা পুলিশই ওই যুবককে খুন করার জন্য পাঠিয়েছিল। যাতে প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের প্রস্তাবিত ট্র্যাক্টর র‌্যালি ভেস্তে যায়। তবে হরিয়ানা পুলিশ এ দাবি অস্বীকার করেছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে যোগেশ জানিয়েছিল, তাঁদের দলে দু’জন মহিলা-সহ ১০ জন ছিলেন। যোগেশ সে সময় বলেছিলেন, “আমাদের পরিকল্পনা ছিল, কৃষকদের ২৬ জানুয়ারির র‌্যালির আগে এগোতে বাধা দেওয়া। যদি তাঁরা না থামেন, তবে প্রথমে র‌্যালির সামনে থেকে শূন্যে গুলিচালনার পরিকল্পনা ছিল। পিছন থেকে আমার সঙ্গীরাও গুলি চালাবে বলে ঠিক করা হয়। যাতে পুলিশ মনে করে যে কৃষকেরাই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে।” তবে পুলিশের কাছে এই স্বীকারোক্তির পুরোপুরি উল্টো বয়ানই দিয়েছেন যোগেশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy