বকেয়া টাকার অনেকটাই মকুব হতে চলেছে। প্রতীকী ছবি।
রাজধানীতে দলীয় অফিস তৈরির জন্য জমির দাম বাবদ ১৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার বেশি পাওনা ছিল কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রকের। বিশেষ সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেই বকেয়া টাকার অনেকটাই মকুব হতে চলেছে। কারণ, দলগুলিকে দেওয়া জমি যে ধরনের জমি বলে নথিভুক্ত, আবাসন মন্ত্রকের প্রস্তাব মেনে তা পাল্টাতে সম্মত হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ জমিগুলি এ বার ‘সরকারের তরফে সরকারকে দেওয়া’ জমি বলে চিহ্নিত হবে। ফলে জমির দরও কমে যাচ্ছে এক লাফে প্রায় দশ গুণ। সূত্রের দাবি, গত ৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত হলেও এ বিষয়ে সরকারি ঘোষণা এখনও হয়নি।
সূত্রের দাবি, এই নয়া সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিই। দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে দলীয় অফিসের জন্য চার একরের একটু বেশি জমি তারা পেয়েছিল। ২০১৭ সালে রাজধানীতে জমির দর সংস্কার হওয়ার পরে আবাসন মন্ত্রকের ভূমি ও উন্নয়ন দফতরের কাছে নরেন্দ্র মোদীর দলের বকেয়া দাঁড়ায় প্রায় ৯১ কোটি টাকা। এ বার সরকার সেই জমির ধরনই পাল্টে দিলে বিজেপির প্রায় ৭৩.২২ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তাদের মেটাতে হবে মাত্র ১৭.৭৮ কোটি টাকা। সূত্রের দাবি, একই ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের বকেয়া আড়াই কোটি থেকে ২৫ লক্ষে নেমে আসবে। ডিএমকে-র বকেয়া সাড়ে চার কোটি থেকে কমে হবে ৫২ লক্ষ। কোটলা রোডে দুই একর জমির জমির জন্য কংগ্রেসের বকেয়া ছিল প্রায় ১৩ কোটি টাকা। কিন্তু জমির ধরন পাল্টে গেলে কংগ্রেসের বকেয়া তো থাকবেই না, উল্টে ভূমি দফতরই তাদের ২৭ লক্ষ টাকা দেবে বলে সূত্রের দাবি।
২০০০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মূলত মধ্য দিল্লিতে বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল, জেডিইউ, আরজেডি-সহ ১৪টি রাজনৈতিক দলকে অফিস তৈরির জন্য সাংসদ সংখ্যার অনুপাতে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy