গুজরাতে বন্যার দৃশ্য। ছবি: পিটিআই।
এক টানা ভারী বৃষ্টির জেরে প্লাবিত গুজরাতের একাধিক অংশ। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩০০ জনকে। ইতিমধ্যেই ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে বন্যা প্রবণ এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সোমবার থেকে গুজরাতে ভারী বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ জনের। গান্ধীনগর ও মহিসাগর জেলায় দু’জন, আনন্দে ছ’জন, মোরবি, খেদা, বরোদা, ভারুচ, আমদাবাদে এক জন করে প্রাণ হারিয়েছেন। বরোদা ও পঞ্চমহলে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করেছে প্রশাসন। এঁদের মধ্যে ছিলেন শিশু ও গর্ভবতী মহিলারাও। তাঁদের পার্শ্ববর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
মাসখানেক পেরিয়ে গেলেও বৃষ্টি থামার নাম নেই উপকূলে। এক টানা ভারী বৃষ্টিতে বিপদসীমা পেরিয়েছে গুজরাতের বহু নদী। গোল্ডেন ব্রিজের কাছে নর্মদা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ফুঁসছে বিশ্বামিত্রী নদীও। তবে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শীঘ্রই পরিস্থিতি বদলাবে গুজরাতে। আশা করা হচ্ছে, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ এবং উত্তর গুজরাত অঞ্চলের গভীর নিম্নচাপটি দুর্গত অঞ্চল থেকে সরে যাবে। ফলে রেহাই মিলবে রাজ্যবাসীর।
ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে তৎপরতা আনতে রাজ্যে দ্বারকা, আনন্দ, বরোদা, খেদা, মোরবি এবং রাজকোট জেলায় ভারতীয় সেনার কয়েকটি দলকে নামানো হয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মোট ৩৬টি দল। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজ নিয়ে আলোচনার জন্য একটি জরুরি বৈঠকও ডেকেছেন। ভূপেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। রাজ্য জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। মানুষকে উপচে পড়া নদী নালার কাছাকাছি না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপরেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy