মণিপুরে নিরাপত্তাবাহিনী। ছবি: পিটিআই।
তিন মাস হয়ে গেল, মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। যে কারণে থমকে নানা কাজ। রাজ্যের মানুষও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে শুক্রবার মণিপুর হাই কোর্ট রাজ্য সরকারকে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে। বিচারপতি অহনথেম বিমল সিংহ এবং বিচারপতি এ গুণেশ্বর শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ সরকারের কাছ থেকে একটি রিপোর্টও চেয়েছে।
গত ৩ মে থেকে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। তার পর থেকেই উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হিংসার পরিস্থিতি সামাল দিতেই সরকারের এই পদক্ষেপ। কিন্তু তিন মাস কেটে যাওয়ার পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়নি। হাই কোর্টে ইন্টারনেটের দাবিতে একাধিক মামলা হয়েছে। সম্মিলিত ভাবে সেই মামলাগুলির শুনানি ছিল শুক্রবার। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করার বিষয়ে সরকার, বিশেষত স্বরাষ্ট্র দফতরের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বরগুলি বেছে বেছে সাদাতালিকাভুক্ত (হোয়াইটলিস্ট) করে ইন্টারনেট চালু করা যায় কি না, তা দেখতে হবে।
পরবর্তী শুনানির দিন সরকারকে এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে হাই কোর্ট। কী ভাবে, কত দিনের মধ্যে রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা সম্ভব, সরকারকে তা জানাতে বলা হয়েছে।
শুনানি চলাকালীন সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, এর আগে রাজ্যে ব্রডব্যান্ড পরিষেবার মাধ্যমে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের অনেক নাগরিকই সে ভাবে পরিষেবা পাচ্ছেন। মোবাইল নম্বর বেছে বেছে ইন্টারনেট পরিষেবা দিলে তথ্য ফাঁসের বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। ফলে সেই পদ্ধতিতে পরিষেবা আবার চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মণিপুর হাই কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৩১ অগস্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy