গুজরাতের বডোদরায় পথচারীদের গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সেই যুবক মদ খেয়ে গাড়ি চালাননি। বরং গাড়ি চালানোর আগে তিনি গাঁজা (মারিজুয়ানা) খেয়েছিলেন। তাঁর রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। যুবকের গাড়ির ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও অন্তত সাত জন। তাঁর সঙ্গে গাড়িতে আরও দু’জন ছিলেন। তাঁদের এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এক জনের খোঁজ চলছে।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা ২৩ বছরের রক্ষিত চৌরাসিয়া বডোদরার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। গত ১৩ মার্চ রাতে বডোদরার করেলিবাগ এলাকায় ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি নিয়ে পর পর পথচারীকে ধাক্কা দেন তিনি। একটি গাড়ি এবং স্কুটারের সঙ্গেও তাঁর গাড়ির সংঘর্ষ হয়। ওই স্কুটারে থাকা মহিলার মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, ঘটনার পরে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করছিলেন যুবক। বলছিলেন, ‘‘আরও এক বার হয়ে যাক!’’ সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছিল (তবে তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন যুবককে ধরে ফেলেন এবং রাস্তায় তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে পুলিশ এলে যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যুবক প্রথম দিন থেকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর কথা অস্বীকার করে এসেছেন। তাঁর এবং তাঁর সঙ্গীর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য গান্ধীনগরের ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। ২০ দিন পরে তার রিপোর্ট এসেছে। শুক্রবার পুলিশ জানায়, যুবক এবং তাঁর সঙ্গী গাঁজা সেবন করেছিলেন, যা গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারানোর অন্যতম কারণ হতে পারে। ধৃত দু’জনেই আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মাদক আইন এবং মোটর ভেহিক্ল আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধরা পড়ার পরে যুবক দাবি করেছিলেন, তাঁরা একটি স্কুটারকে পাশ কাটিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ে তাঁদের গাড়ি একটি গর্তে হোঁচট খায় এবং অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়। ওই সময়ে চালকের আসনের এয়ারব্যাগ খুলে গিয়েছিল। সেই কারণে তিনি কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না বলে জানিয়েছেন যুবক। তাঁর গাড়ির ধাক্কায় মহিলার মৃত্যু হয়েছে শুনে অনুতাপও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে মাদক সেবন করে গাড়ি চালানোর অভিযোগ নতুন জটিলতা তৈরি করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তৃতীয় অভিযুক্তকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।