মল্লিকার্জুন খড়্গে। —ফাইল চিত্র।
কর্নাটক সরকারের দেওয়া পাঁচ একর জমি ফিরিয়ে দিল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের পরিবার। চলতি বছরের মার্চ মাসে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটক সরকার খড়্গে পরিবার পরিচালিত ‘সিদ্ধার্থ বিহার ট্রাস্ট’কে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করে। কিন্তু জমি বণ্টন নিয়ম মেনে করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বিতর্কের প্রেক্ষিতে এ বার সেই জমি ফিরিয়ে দিল খড়্গে পরিবার। প্রসঙ্গত, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া মাইসুরু আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (মুডা)-র জমি নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে। এই আবহে খড়্গে পরিবারের জমি ফেরানোর সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ‘সিদ্ধার্থ বিহার ট্রাস্ট’-এর অন্যতম মালিক খড়্গের পুত্র রাহুল। হার্ডঅয়্যার শিল্পের জন্য রাজ্যের বাগালুরের বিশেষ শিল্পতালুকের জমির জন্য সরকারের কাছে আবেদনপত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি। কর্নাটকের শিল্পোন্নয়ন নিগম খড়্গে-পুত্রের সংস্থাকে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করে।
বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতি রয়েছে। স্থানীয় সমাজকর্মী দীনেশ কাল্লাহালি কর্নাটকের রাজ্যপাল থবরচাঁদ গহলৌতের কাছে অভিযোগ করেন যে, গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। ওই সমাজকর্মী এই ঘটনায় কর্নাটকের শিল্পমন্ত্রী এমবি পাতিলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করারও আর্জি জানান। ওই সমাজকর্মীর দাবি, জমি পাওয়ার জন্য অনেকে দরপত্র জমা দিলেও রীতি ভেঙে খড়্গের পুত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
‘মুডা’র জমি বেআইনি ভাবে বিলি করার অভিযোগ রয়েছে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের নামে ৫৬ কোটি টাকার বিনিময়ে মাইসুরুর অভিজাত এলাকায় ১৪টি জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল বলে তথ্যের অধিকার আইনে প্রাপ্ত জবাবে জানা গিয়েছিল। তথ্যের অধিকার কর্মী স্নেহময়ী কৃষ্ণ অভিযোগ তোলেন, বাজারদরের তুলনায় অনেক কম দামে বরাদ্দ হয়েছিল ওই জমি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত অগস্টে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিয়েছিলেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থবরচাঁদ গহলৌত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy