বিমান দুর্ঘটনার সেই দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স।
‘কী হয়েছে? আমি কোথায়? এখানে কী ভাবে এলাম?’ হাসপাতালে চোখ খুলে এমনই একের পর এক প্রশ্ন করে গিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যুবক লি। কী হয়েছিল ওই বিমানে, কোন অলৌকিক বলে প্রাণে বেঁচে গেলেন, কিছুই মনে করতে পারছেন না তিনি! হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, আঘাতের জেরে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন লি। দুর্ঘটনার মূহূর্তের কিছুই মনে নেই তাঁর।
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের। প্রাণে বেঁচেছেন মাত্র দু’জন বিমানকর্মী। লি তাঁদেরই এক জন। মোকপো হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। সোমবার লি-র জ্ঞান ফিরেছে। কিন্তু জ্ঞান ফেরা ইস্তক আতঙ্কে রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল কর্মীরা জানাচ্ছেন, দুর্ঘটনার কারণে সাময়িক ভাবে মানসিক ভারসাম্য খুইয়েছেন ওই যুবক। ‘কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল?’ চিকিৎসকদের প্রশ্নের উত্তরে স্মৃতি হাতড়ানোর চেষ্টা করলেও কিছুই মনে করতে পারছেন না লি। পরিবারের অনুরোধে তাঁকে সিওলের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দুর্ঘটনায় লি-র বাঁ কাঁধ ও মাথায় চোট লেগেছে।
লি-র মতোই বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন ২৫ বছর বয়সি কওন। মোকপো সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। লি-র মতো তাঁরও কিছুই মনে নেই। আপাতত কওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক না হলেও তাঁর আঘাতগুলিও যথেষ্ট উদ্বেগের। মাথায়, গোড়ালিতে এবং পেটে চোট পেয়েছেন তিনি। মাথার খুলিতে চিড় ধরেছে। হাড় ভেঙেছে পায়ের।
রবিবার ভোরে দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারের ওই বিমানটি ব্যাঙ্কক থেকে ফিরছিল। বিমানে ছিলেন ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছ’জন বিমানকর্মী। মুয়ান শহরে অবতরণের সময়েই ঘটে দুর্ঘটনা। ১৮১ জনের মধ্যে ১৭৯ জনেরই মৃত্যু হয়। অনেকের মতে, এটি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ‘অন্যতম ভয়ঙ্কর’ বিমান দুর্ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy