বাজেট থেকে জিএসটি বিল, ডোকলাম বিতর্ক থেকে তিন তালাক নানা রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ২০১৭। কী কী ঘটল ২০১৭-তে? কী কী বদল হল দেশের?
বছরভর সেরা ঘটনাগুলির তালিকা এক নজরে:
১ ফেব্রুয়ারি: রেল বাজেটের সঙ্গে মিশল সাধারণ বাজেট
ঐতিহ্য ভেঙে রেল বাজেট মিশে গেল সাধারণ বাজেটের সঙ্গে নব্বই বছরেরও বেশি সময় ধরে কেন্দ্রে সাধারণ বাজেট পেশের আগে পেশ হয়ে এসেছে রেল বাজেট। সেই ঐতিহ্য ভাঙার সাহস দেখাল কেন্দ্রীয় সরকার। রেল বাজেটকে মিশিয়ে দেওয়া হল সাধারণ বাজেটের সঙ্গে।
২৯ মার্চ: সংসদে পাশ জিএসটি বিল
ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে পাশ হয়ে গেল জিএসটি বিল। এই জিএসটি-র জন্য ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছিল ১৭ বছর আগে, অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায়। সারা দেশে অভিন্ন কর ব্যবস্থার লক্ষ্যে জিএসটি চালু করার কাজ শুরু করে মনমোহন সিংহের সরকার। তখন আবার বাধা দিয়েছিল বিজেপি। অবশেষে নরেন্দ্র মোদীর জমানায় সেই জিএসটি দিনের আলো দেখল।
জুন: ডোকলাম-বিতর্ক, সীমান্তে সেনা পাঠাল ভারত-চিন
ভুটানি এলাকায় ঢুকে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করছিল চিন। ডোকলামে সেনা পাঠিয়ে চিনের সেই পরিকল্পনা ভারত আটকেও দিয়েছে। শুরু হয়ে যায় ভারত-চিন টানাপড়েন। প্রায় দু’মাস পর ২৮ অগস্ট ডোকলাম সমস্যা মিটে যায়। দু’পক্ষই সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়।
৫ সেপ্টেম্বর: গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ড
প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং লঙ্কেশ পত্রিকার এডিটর গৌরী লঙ্কেশকে খুন হতে হয় কট্টরবাদদের হাতে। গৌরী লঙ্কেশের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করা হয়। তাঁকে হত্যার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
মার্চ: গোয়া, মণিপুর, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড— পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন
উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়া তিন রাজ্য বিজেপির দখলে যায়। উত্তরপ্রদেশের ব্যাটন ধরেন যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরাখণ্ডের মুখমন্ত্রী হন প্রাক্তন আরএসএস প্রচারক ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিন হন মনোহর পর্রীকর। মণিপুরে ৬০ আসনের বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করেন ওকরাম। শর্মিলা চানু পান মাত্র ৯০টি ভোট। পঞ্জাবে ১১৭টি আসনে লড়ে জয় ছিনিয়ে নেয় কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ।
২০ জুলাই: দেশের ১৪তম রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ
দেশের ১৪তম রাষ্ট্রপতি হলেন এনডিএ প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ। তাঁর বিরোধী প্রার্থী ছিলেন মীরা কুমার। গত ১৭ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়। ৬৫.৬৫ শতাংশ ভোট পান কোবিন্দ। মীরা কুমার পান ৩৪.৩৫ শতাংশ ভোট।
১৯ অগস্ট: এনডিএতে যোগ দেয় নীতীশের জেডিইউ
২০১৩ সালের জুন মাসে ১৭ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর নাম প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার পরই এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। সেই মোদীর প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ই ‘পুরনো বন্ধু’ এনডিএতে যোগ দেন নীতীশ।
২২ অগস্ট: তিন তালাক অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়
তিন তালাককে অসাংবিধানিক, অবৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। এর পর চলতি বছরের ডিসেম্বরে তিন তালাককে ফৌজদারী অপরাধ হিসাবে মান্যতা দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এক দফায় বা অন্য কোনও অবৈধ ভাবে তিন তালাক দিলে এ বার তিন বছরের জেল হবে। এমনই আইন আনার পথে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
১৬ ডিসেম্বর: কংগ্রেস সভাপতি হলেন রাহুল গাঁধী
সভাপতি পদে দীর্ঘতম ইনিংস শেষ করে পুত্রের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দেন সনিয়া গাঁধী। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেসের সভাপতি পদপ্রার্থী হিসাবে একাই মনোনয়ন পেশ করেছিলেন রাহুল গাঁধী।
১৮ ডিসেম্বর: গুজরাত, হিমাচলে বিধানসভার নির্বাচনের ফলপ্রকাশ
গুজরাত এবং হিমাচলপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়। দুই রাজ্যই বিজেপির দখলে চলে যায়। গুজরাতে ৯৯টি আসন পায় বিজেপি আর হিমাচলপ্রদেশে ৪৪টি আসন দখল করে নেয় বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy