হাইলাকান্দির গ্রামোন্নয়ন বিভাগে ইন্দিরা আবাস যোজনার ৭০ লক্ষ টাকা লোপাটের মামলায় মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা। ১০ জন অভিযুক্তের এক জনকেও পুলিশ ধরতে পারেনি। এতে ক্ষুব্ধ হাইলাকান্দির ছাত্র সংগঠন পিএসওয়াইএফ ও কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা ও শাস্তির দাবিতে তাঁরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর্থিক কেলেঙ্কারির এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সার্কল অফিসার, বিডিও, ৬ জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারও। ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ বছরের মধ্যে হাইলাকান্দি ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে ইন্দিরা আবাস যোজনায় টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। দরিদ্র বাসিন্দারা ওই প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পেলেও বাকিটা পাচ্ছিলেন না। জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের অন্য দফতরে নালিশ জানিয়েও লাভ হয়নি।
শেষে হাইলাকান্দিতে নবনিযুক্ত বিডিও মইনুল হক চৌধুরীর দ্বারস্থ হন সকলে। তিনি টাকা নয়ছয়ের বিষয়টি টের পেয়ে জেলাশাসক বরুণ ভুঁইয়াকে খবর দেন। এরপরই অতিরিক্ত জেলাশাসক পি বি রায়ের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের কমিটি এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। জেলাশাসকের নির্দেশে ১৮ এপ্রিল হাইলাকান্দি সদর থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত কমিটির পক্ষে অভিযোগ নথিভুক্ত করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক পি বি রায়, হাইলাকান্দির সিও সরফরাজ হক, কোষাগার আধিকারিক পি কে দাস এবং হাইলাকান্দির সিএন কে দাস। তদন্ত শুরু করেন সদর থানার ওসি কনকচন্দ্র নাথ। কিন্তু ১৫ দিন পরও ১০ জন অভিযুক্তের এক জনকেও গ্রেফতার করা যায়নি। কনকবাবু বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। কিন্তু কারও খোঁজ মেলেনি।’’ হাইলাকান্দির বিডিও মইনুল হক বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা অফিসেও যাচ্ছেন না।’’ অতিরিক্ত জেলাশাসক পি বি রায় বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে।’’
পিএসওয়াইএফ ও কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক কারনে এই কেলেঙ্কারির কথা ধামাচাপা দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। কেএমএমএস-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক জহিরউদ্দিন লস্কর বলেন, ‘‘গরিব মানুষের টাকা যাঁরা লোপাট করেছেন, তাঁদের শাস্তি পেতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy