উদ্ধব ঠাকরে-একনাথ শিন্ডে। ফাইল চিত্র ।
একনাথ শিন্ডে-সহ ১৬ জন শিবসেনা বিধায়কের বিরুদ্ধে কেন দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, সে বিষয়ে ডেপুটি স্পিকার (ভারপ্রাপ্ত স্পিকার) নরহরি সীতারাম জিরওয়ালের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, ওই বিধায়দের বিরুদ্ধে আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত দলত্যাগ বিরোধী আইনে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে ডেপুটি স্পিকারকে জানিয়েছে বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জে বি পাড়িয়ালার বেঞ্চ। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।
উদ্ধব ঠাকরের দাবি মেনে, একনাথ শিন্ডে-সহ ১৬ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে নোটিস পাঠিয়ে মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ সম্পর্কে আত্মপক্ষ সাফাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার (ভারপ্রাপ্ত স্পিকার) নরহরি সীতারাম জিরওয়াল। কিন্তু মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট সেই সময়সীমা আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল। পাশাপাশি, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং জে বি পাড়িয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার বিদ্রোহী বিধায়কদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারকে।
মহারাষ্ট্র মামলার শুনানিতে সোমবার উঠে এল সাত বছর আগে অরুণাচলের বিধায়কদের দলবদলের মামলার প্রসঙ্গ। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে অরুণাচলের দুই কংগ্রেস বিধায়ক—ওয়াংলাম সাওইন ও গ্যাব্রিয়েল ডি ওয়াংসুর বিধায়ক পদ খারিজ করে দেন তৎকালীন স্পিকার নাবাম রিবিয়া। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা নাবাম টুকির বিরোধিতা করার কারণেই তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়েছিল। দুই বিধায়ক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়ে বলে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বর্তমান স্পিকার। ততদিনে অরুণাচলে ক্ষমতার পালাবদল হয়ে গিয়েছিল। বিজেপি সমর্থিত সরকারপক্ষের দ্বারা নির্বাচিত স্পিকার তেনজিং নোরবু থন্ডোক দুই বিধায়কের পদ খারিজের সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাঁদের পুনর্বহাল করেন।
প্রাণসংশয়ের ভয়েই তাঁরা মহারাষ্ট্র বিধানসভায় গিয়ে ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিওয়ালের কাজে যেতে পারছেন না বলে দাবি সুপ্রিম কোর্টে দাবি করল একনাথ শিন্জে শিবির। পাশাপাশি, তাঁরা শীর্ষ আদালতে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন সোমবার।
শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরে বিধানসভার নেতা হিসেবে শিন্ডেকে সরিয়ে সেই পদে মঙ্গলবার বসিয়েছিলেন তাঁর অনুগত অজয় চৌধুরীকে। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন গোগাবলে।
একনাথ শিন্ডে শিবিরের তরফে মোট দু’টি আবেদন দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রথমটি করেছেন শিন্ডে নিজে। দ্বিতীয়টি তাঁর অনুগামী নেতা ভরত গোগাবলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy