মহারাষ্ট্রের এক পুলিশকর্তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। —প্রতীকী চিত্র।
বেআইনি ভাবে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার অভিযোগে মহারাষ্ট্রের পুলিশকর্তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলল বম্বে হাই কোর্ট। ওই ব্যক্তিকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্তাকে সেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত জুন মাসে হিঙ্গোলি শহরে দায়ের হওয়া একটি এফআইআর বাতিলের আবেদন জানিয়ে মামলা হয়েছিল। বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি বিভা কঙ্কনওয়াড়ি এবং বিচারপতি এসজি চাপালগাওঁকারের বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। মামলাকারী জানান, মানহানি, আপত্তিকর জিনিসপত্র পাঠানো এবং চুরি যাওয়া কম্পিউটার জোর করে ধরে রাখার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬-এ এবং ৬৬-বি ধারায় মামাল রুজু করে পুলিশ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ধারাগুলি এই মামলার ক্ষেত্রে প্রযুক্ত নয়। তা সত্ত্বেও গত ৬ অগস্ট রাত ১২টার পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরের দিন তাঁকে আদালতে হাজির করানো হলে সে দিনই ওই ব্যক্তি জামিন পেয়ে যান।
মামলার শুনানিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্তার ভূমিকার সমালোচনা করে বিচারপতি বলেন, ‘‘কোনও গ্রেফতারির আগে সংশ্লিষ্ট অফিসার নিজের সাধারণ বুদ্ধি প্রয়োগ করলেন না, এটা আমার ধারণার বাইরে। কোন ধারা এই মামলায় প্রযুক্ত হতে পারে, কী শাস্তি হতে পারে অথবা আদৌ গ্রেফতার করা যায় কি না, উনি ভাবলেন না? গ্রেফতারির সময়ে অফিসারের উচিত আইন মেনে চলা। তাই গ্রেফতার করে নেওয়ার পরে ভুল ধারার উপলব্ধি তো আত্মহত্যার সমান!’’
আদালত জানায়, তদন্তকারী আধিকারিক গ্রেফতারির কোনও কারণ দেখাননি। সাত বছরের কম সাজা হয়, এমন ধারা যুক্ত হলে যা বাধ্যতামূলক।
মামলাকারী যুবক এবং তাঁর স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। এর মাঝেই স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা করেন। অভিযোগ করেছিলেন, যুবক তাঁর গোপন মুহূর্তের ভিডিয়ো বানিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন। সেই মামলাতেই বেআইনি ভাবে যুবককে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy