বৈঠকের পরে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে শাহ। ছবি: পিটিআই।
প্রায় ৭ দশকের পুরনো সীমানা বিবাদ মেটানোর জন্য কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার দিল্লিতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, এবং কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন শাহ। সেখানে হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অর্ঘ জ্ঞানেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে’। বৈঠকের পর শাহ বলেন, ‘‘দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে সীমানা সমস্যার সমাধানসূত্র খোঁজার প্রচেষ্টা শুরু করতে ঐকমত্য হয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে শাহের মধ্যস্থতাতেই সীমানা সমস্যার সমাধানে চুক্তি সই করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
শাহের বৈঠকের আগেই মহারাষ্ট্রের শোলাপুর ডিভিশনের অক্কলকোট জেলার ১১টি গ্রামসভার বৈঠকে সর্বসম্মত ভাবে কর্নটকে যোগদানের প্রস্তাব পাশ হওয়ায় ঘটনায় শুরু হয়েছ বিতর্ক। স্থানীয় সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনের ‘কড়া বার্তা’ পেয়ে ওই ১১টি কন্নড়ভাষী-গরিষ্ঠ গ্রামের মধ্যে ১০টি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে মহারাষ্ট্রে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অসম, মিজোরাম, মেঘালয়ের পরে এ বার সীমানা বিরোধে উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের দুই রাজ্য। গত সপ্তাহ থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র-কর্নাটকের সীমানাবর্তী জেলাগুলিতে। ঘটনাচক্রে, ২ রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে শিন্ডেসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে। কর্নাটকে একক ভাবেই। কিন্তু সীমানা বিতর্কের জেরে সম্প্রতি প্রকাশ্যে বাগ্যুদ্ধে জড়িয়েছেন বিজেপির ২ নেতা— কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এবং মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস।
বস্তুত, ১৯৫৭-তে রাজ্যের সীমানা পুনর্বিন্যাসের সময় থেকেই দুই রাজ্যের মধ্যে এ নিয়ে সমস্যা চলছে। মহারাষ্ট্রের অভিযোগ, অধিকাংশ মরাঠি ভাষাভাষীর মানুষের বসবাস সত্ত্বেও সীমানাবর্তী বেলগাভি জেলার কিছু অংশ কর্নাটককে দেওয়া হয়েছিল। যা ফেরানোর দাবি করে মহারাষ্ট্র। অন্য দিকে, কর্নাটকের দাবি শোলাপুর জেলার কন্নড়ভাষী-গরিষ্ঠ অঞ্চলগুলি তাদের দেওয়া হোক। এই পরিস্থিতিতে সীমানা বিতর্কে মধ্যস্থতায় শাহের উদ্যোগ সফল হয় কি না, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy