‘লাড়কী বহীণ’ প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ কমাল মহারাষ্ট্র সরকার। সোমবার মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবীসের নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্য বাজেট পেশ করে। অনেকেই মনে করছিলেন নতুন অর্থবর্ষের বাজেটে ‘লাড়কী বহীণ’ প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হতে পারে। কিন্তু এমন কোনও ঘোষণা নেই বাজেটে। গত অর্থবর্ষে একনাথ শিন্দের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার এই প্রকল্পের জন্য ৪৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। এ বারের বাজেটে তা ১০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে আনা হয়েছে। সোমবার বাজেট বক্তৃতায় মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী অজিত পওয়ার জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য ‘লাড়কী বহীণ’ প্রকল্পে ৩৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের ধাঁচে মহারাষ্ট্র-সহ বেশ কিছু রাজ্যে অনুরূপ মহিলা-ভাতা প্রকল্প চালু করা হয়েছে। গত বছর মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এই প্রকল্প চালু করে শিন্দের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। প্রকল্পের আওতায় ২৫-৬৫ বছর বয়সি মহিলাদের মাসে ১,৫০০ টাকা করে দেওয়া শুরু করে মহারাষ্ট্রের সরকার। প্রকল্পের অন্যতম শর্ত হল, উপভোক্তাকে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা হতে হবে। বিয়ে করে অন্য রাজ্যে চলে গেলে তিনি আর এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।
ভোটের মুখে শিন্দে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোটে জিতলে এই ভাতার পরিমাণ ১,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,১০০ টাকা করা হবে। গত বছরের নির্বাচনে ‘লাড়কী বহীণ’ প্রকল্প বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ‘মহাজুটি’-কে জয়ী হতে অনেকাংশে সাহায্য করে। পুনরায় মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছে ‘মহাজুটি’। তবে বর্ধিত অঙ্কে ভাতা দেওয়া এখনও চালু হয়নি।
আরও পড়ুন:
এরই মধ্যে রাজ্য বাজেটে ‘লাড়কী বহীণ’ প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে আনল মহারাষ্ট্রের জোট সরকার। তা নিয়ে শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে সমালোচনাতেও বিঁধেছেন শাসকশিবিরকে। ‘লাড়কী বহীণ’ প্রকল্পে প্রতিশ্রুতি মতো টাকা এখনও পর্যন্ত বর্ধিত না-হওয়া নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। এগুলিকে মহাজুটির ‘নির্বাচনী কৌশল’ বলেই মনে করছেন তিনি। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবীসের বক্তব্য, বাজেটে ভারসাম্য বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভাতার অঙ্কও প্রতিশ্রুতি মতো ধাপে ধাপে বর্ধিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী শিন্দেও জানিয়েছেন, মাসে ২১০০ টাকা করে দেওয়ার প্রক্রিয়া এখনও চলছে।