Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
PM Narendra Modi

‘প্রধানমন্ত্রীর স্বল্প শিক্ষা দেশের জন্য ভয়ঙ্কর!’ জেল থেকে খোলা চিঠি মণীশ সিসৌদিয়ার

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল টুইট করে মণীশের লেখা চিঠিটি প্রকাশ্যে এনেছেন। ভারতের অগ্রগতির জন্য এক জন শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী থাকা প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মণীশ।

Low Qualifications of PM Narendra Modi dangerous for country, says AAP leader Manish Sisodia in a letter addressing to the people of India.

কয়েক দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মামলায় গুজরাত হাই কোর্টে ধাক্কা খেয়েছেন কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৫১
Share: Save:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শিক্ষার গুরুত্ব বোঝেন না। তাঁর কম শিক্ষাগত যোগ্যতা দেশের জন্য ভয়ঙ্কর! জেল থেকে দেশবাসীকে লেখা খোলা চিঠিতে এমনটাই দাবি করলেন জেলবন্দি আম আদমি পার্টি (আপ) নেতা মণীশ সিসৌদিয়া।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল একটি টুইট করে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশের লেখা চিঠিটি প্রকাশ্যে এনেছেন। সেই চিঠির সারাংশ উদ্ধৃত করে কেজরীওয়াল লিখেছেন, ‘‘জেল থেকে জাতির উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন মণীশ। প্রধানমন্ত্রীর স্বল্প শিক্ষা দেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক। মোদী বিজ্ঞান বোঝেন না। মোদী শিক্ষার গুরুত্ব বোঝেন না। গত কয়েক বছরে প্রায় ৬০ হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’

ভারতের অগ্রগতির জন্য এক জন শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী থাকা প্রয়োজন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মণীশ।

কয়েক দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মামলায় গুজরাত হাই কোর্টে ধাক্কা খেয়েছেন কেজরীওয়াল। নির্বাচনী হলফনামায় মোদী জানিয়েছিলেন, তিনি ১৯৭৮ সালে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ১৯৮৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন। সেই সূত্র ধরেই কেজরীওয়াল মুখ্য তথ্য কমিশন (সিআইসি)-এর কাছে মোদীর বিএ এবং এমএ পাশের শংসাপত্র দেখতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও), দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই শংসাপত্র দেখানোর নির্দেশ দেয় সিআইসি। সিআইসির এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়। গত ৩১ মার্চ শুক্রবার গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের একক বেঞ্চ সিআইসির সেই নির্দেশকে খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির শংসাপত্রের বিস্তারিত তথ্য চাওয়ার জন্য কেজরীওয়ালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।

আদালতের রায়ের পর কেজরী বলেছিলেন, ‘‘দেশের মানুষের কি জানার অধিকার নেই প্রধানমন্ত্রী কতটা শিক্ষিত? ওঁরা আদালতে ডিগ্রি দেখাতে কেন এত আপত্তি করছেন বুঝতে পারছি না! যে ব্যক্তি ডিগ্রি দেখতে চাইলেন, তাঁকেই জরিমানা করা হল? কী হচ্ছে! একজন অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য বিপজ্জনক।’’

এই বার পরোক্ষে খোলা চিঠি দিয়ে সেই একই দাবি করলেন মদের ব্যবসার অনুমোদন দেওয়ার বদলে বেআইনি ভাবে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে ধৃত মণীশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy