প্রতীকী ছবি
মহারাষ্ট্রের কিছু জায়গায় ধর্মীয় শোভাযাত্রার আশপাশে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়ানোর কথা উঠে এল। অমরাবতী জেলার অচলপুর শহরে জারি হয়েছে কার্ফু। ধর্মীয় পতাকা সরিয়ে নেওয়ার জের ধরে রবিবার গভীর রাতে গোলমাল ছড়ায় সেখানে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। দু’গোষ্ঠীর ২২ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে ঘটনায় এ পর্যন্ত কত জন জখম, তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
অমরাবতী জেলা সদর থেকে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দূরে অচলপুর। পুলিশ জানিয়েছে, শহরের প্রধান প্রবেশদ্বার খিড়কি গেট এবং দুলহা গেটে প্রতি বছর নানা উৎসবের সময় বিভিন্ন ধর্মের পতাকা টাঙানো থাকে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘রবিবার গভীর রাতে কিছু দুষ্কৃতী ধর্মীয় পতাকা সরানোর জেরে সংঘর্ষ ছড়াতে থাকে। পাথর ছোড়া শুরু হয়।’’ স্টেট রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স ও স্থানীয় পুলিশের সময় মতো হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে দাবি তাঁর।
রবিবার রাতে মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ের একটি মন্দিরের কাছে ‘কলস যাত্রা’ চলাকালীন গোলমাল বাধে। সেখানে আট থেকে দশ জন গুরুতর আহত। ২০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। হনুমান জয়ন্তী এগিয়ে আসায় রাম নবমীর অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে বিভিন্ন রাজ্যে নিরাপত্তার কড়াকড়ি বাড়ছিল। তার পরেও অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কর্নাটক থেকে হিংসার খবর উঠে এসেছে। কর্নাটকের হুবলি শহরে সমাজমাধ্যমের পোস্ট ঘিরে হিংসার পরে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
এ দিকে, ধর্মীয় স্থান এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে লাউড স্পিকার ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের মধ্যে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। আজ একটি বৈঠকের পরে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর জানায়, লাউড স্পিকার বাজাতে যথাযথ অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি চাওয়ার শেষ তারিখ ৩ মে। যে সমস্ত ধর্মীয় সংস্থার অনুমতি থাকবে না, তাদের থেকে লাউড স্পিকার বাজেয়াপ্ত করা হবে।
এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে গুড়ি পড়ওয়া শোভাযাত্রার সময় মসজিদের বাইরের লাউড স্পিকার সরানোর দাবি তুলেছিলেন। তার পরেই রাজ্যে বড় বিতর্ক শুরু হয়। লাউড স্পিকার সরানোর জন্য রাজ ঠাকরে সরকারকে ৩ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।
মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কাউকেই রাজ্যের পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy