এরই সঙ্গে, যে দেশগুলি থেকে তরল জ্বালানি (লিকুই়ড ন্যাচারাল গ্যাস) আমদানি করে পাকিস্তান, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দিয়েও রফতানি করেনি। ফলে আতান্তরে পড়েছে দেশটি।
প্রতীকী ছবি।
দেশে চূড়ান্ত জ্বালানি সঙ্কট দেখা দেওয়ায় সাধারণ মানুষের বসত বাড়ি ও শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে বিশ্ব জুড়ে রেকর্ড পরিমাণ দাম বেড়েছে জ্বালানির। ফলে দেশের প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে জ্বালানি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। জানা গিয়েছে, গত ন’মাসে পাকিস্তানের জ্বালানি সংক্রান্ত খরচ বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৫০০ কোটি ডলার। যা তার আগের বছরের ঠিক দ্বিগুণ।
সদ্য নিযুক্ত অর্থমন্ত্রী মিফতা জামিলের টুইটারের পোস্টে জানা গিয়েছে, স্রেফ জ্বালানির অভাবে গত ১৩ এপ্রিল তিন হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। প্রায় একই পরিমাণ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্যও। জামিল জানিয়েছেন, সারা দেশে মোট যত পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন, তার এক পঞ্চমাংশ জোগান দিত এই সাত হাজার মেগাওয়াটের কেন্দ্রগুলি। একই সুর শোনা গিয়েছে করাচীর এক বিশেষজ্ঞ তাহির আব্বাসের মুখেও।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, পাকিস্তানের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের সামনে যে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে তার মধ্যে বিদ্যুৎয়ের সঙ্কট যোগ করতে চলেছে এক আলাদা মাত্রা। বিশ্বের অন্য দেশের থেকে অপেক্ষাকৃত গরীব দেশ হওয়ায় ও নিজেদের সে ভাবে কোনও জ্বালানি উৎস না থাকায় সম্পূর্ণ ভাবে আমদানির উপর নির্ভরশীল। তাই যুদ্ধের বাজারে এ ভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ্বাস দেশটির।
এরই সঙ্গে, যে দেশগুলি থেকে তরল জ্বালানি (লিকুই়ড ন্যাচারাল গ্যাস) আমদানি করে পাকিস্তান, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দিয়েও রফতানি করেনি। ফলে আতান্তরে পড়েছে দেশটি। রোববার স্পট মার্কেট থেকে ছয়টি এলএনজি কারগো কেনার জন্য একটি দরপত্র প্রকাশ করেছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে দেশটির সরকারকে কয়েক লক্ষ ডলার ব্যয় করতে হতে পারে। ইসলামাবাদ তা সামলাতে পারবে কিনা, প্রশ্ন সেটাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy