রাহুল গাঁধী। ছবি পিটিআই।
অরবিন্দ কেজরীবাল বা তাঁর সরকারের সরাসরি সমালোচনা করলেন না। তবে ২০১৪ সালে কংগ্রেসের সম্পর্কে ‘মিথ্যে কথা বলে’ কে বিজেপির জন্য দরজা খুলে দিয়েছিলেন, কেজরীবালকে তা ভেবে দেখতে বললেন রাহুল গাঁধী।
২০১৪-র লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করেই আন্দোলনে নেমেছিলেন অণ্ণা হজারে। সেই আন্দোলন থেকেই অরবিন্দ কেজরীবালের রাজনৈতিক উত্থান হয়। কিন্তু এ বার লোকসভা ভোটের আগে সেই কেজরীবালই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনেক মাজাঘষার পরেও শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস-আপ জোট হয়নি দিল্লিতে।
কেজরীবালের অভিযোগ, জোট না করে কংগ্রেসই বিজেপিকে সাহায্য করছে। দিল্লিতে আজ প্রথম বার ভোটের প্রচার নেমে কংগ্রেস সভাপতির জবাব, ‘‘২০১৪-য় কে বিজেপির জন্য দরজা খুলে দিয়েছিল? কে কংগ্রেস সম্পর্কে মিথ্যে কথা বলেছিল? একা বিজেপি তা করেনি।’’
দিল্লিতে কংগ্রেস-আপ জোটের সমীকরণ প্রায় পাকা করে ফেলার পরেও শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়। কারণ কেজরীবাল দিল্লির পাশাপাশি পঞ্জাব-হরিয়ানাতেও জোট চাইছিলেন। আজ চাঁদনি চক লোকসভা কেন্দ্রের প্রচারে সদর থানা চকের জনসভায় রাহুল বলেন, ‘‘আমি কেজরীবালকে বলেছিলাম, আমাদের দিল্লির ৭টি আসন জিততে হবে। আপকে ৪টি আসন ছেড়ে কংগ্রেসের জন্য ৩টি আসন রেখেছিলাম। তিনি সম্মতিও দেন। পরে তিনি হরিয়ানা-পঞ্জাবের প্রসঙ্গ টেনে আনেন।’’
রাহুলের দাবি, আগামী বিধানসভা ভোটে দিল্লিতে কংগ্রেসই সরকার গড়বে। তার আগে লোকসভা ভোটেও আপের বদলে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাঁর যুক্তি, ‘‘একমাত্র কংগ্রেসই নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি, আরএসএস-এর বিরুদ্ধে লড়তে পারে। এটা মতাদর্শের লড়াই। আর কেউ টক্কর দিতে পারবে না। গত পাঁচ বছরে কে লড়েছে? মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, কর্নাটকে আমরা বিজেপিকে হারিয়েছি।’’ রাহুল বলেন, ‘‘৫ বছর আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, বিজেপি-সঙ্ঘকে এক ইঞ্চি এগোতে দেব না। আমাদের সাংসদরা লোকসভায় দিনের পর দিন লড়েছেন। আমরাই ঘাম-রক্ত ঝরিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy