কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল ছবি।
নির্বাচনী বন্ড কাণ্ডে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ায় এ বার তাঁর ইস্তফা দাবি করে সরব হলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। পাশাপাশি গোটা বিষয়টিতে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি)-কে দিয়ে তদন্ত করার দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতারা।
নির্বাচনী বন্ড প্রসঙ্গে জনঅধিকার সংঘর্ষ পরিষদ নামে অসরকারি সংস্থার অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি মিলে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কার্যত তোলাবাজি চালিয়েছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ, মূলত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার কাছ থেকে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে শাসক শিবির। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি নির্বাচনী বন্ড খারিজ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরে গত কাল বেঙ্গালুরুতে সাংসদ-বিধায়কদের বিশেষ আদালতে জনঅধিকার সংঘর্ষ পরিষদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে নির্মলা-সহ বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরের নেতাদের নাম রয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে এবং পরবর্তী ধাপে যে এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছে, সে সব প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রক কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
আজ সেই এফআইআরের উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ইস্তফার দাবিতে সরব হন। তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রকে দুর্বল করার লক্ষ্যে এ হল বিজেপির ঘৃণ্য চক্রান্ত। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মতো এ ক্ষেত্রে সকলেই সমান ভাবে দোষী। ওই এফআইআর বিজেপির চরিত্রকে স্পষ্ট করে দিয়েছে। বিশেষ করে দলের এক ও দু’নম্বরকে।’ নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের নির্দেশেই নির্মলা সীতারামন নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। জয়রামের বক্তব্য, প্রকৃত দোষীদের সামনে আনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে বিশেষ তদন্তকারী দলের মাধ্যমে তদন্ত হওয়া উচিত।
কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, যে কোনও গণতন্ত্রে নির্বাচনে সকলের সমান সুবিধা পাওয়া উচিত। কিন্তু নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিপুল টাকা তুলে সংবিধানের বুনিয়াদি কাঠামোয় হামলা চালিয়েছে বিজেপি। জয়রামের কথায়, ‘‘এ হল বিজেপির তোলাবাজি যোজনা। যার জন্য আমরা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ইস্তফা চেয়ে সরব হয়েছি। যদিও আমরা জানি না, সঠিক ভাবে তদন্ত হলে এর জল কত দূর গড়াবে!’’ কংগ্রেস নেতৃত্ব আশা করছেন, স্বচ্ছ ভাবে তদন্ত হলে জল অনেক দূরই গড়াবে। যাতে নাম জড়াবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy