Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেত্রী জয়াপ্রদা

এককালে সমাজবাদী পার্টির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছেন জয়াপ্রদা।

দিল্লিতে বিজেপির দফতরে জয়াপ্রদা। ছবি: পিটিআই।

দিল্লিতে বিজেপির দফতরে জয়াপ্রদা। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ১৬:৫৮
Share: Save:

নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেত্রী জয়াপ্রদা।মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে জয়াপ্রদাকে দলে স্বাগত জানান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিজেপির হয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে কৃতজ্ঞতা জানান জয়াপ্রদা।

অন্য দিকে, জয়াপ্রদা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এককালে সমাজবাদী পার্টির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছেন জয়াপ্রদা। তাদের হয়ে প্রচারেও নেমেছেন। তবে দলের নেতা আজম খানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ তাঁর। এ বছর সেই আজম খানের বিরুদ্ধেই উত্তরপ্রদেশের রামপুরে জয়াপ্রদাকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

বিজেপিতে যোগদানের পর এ দিন দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়াপ্রদা বলেন, ‘‘আমার জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। সিনেমা হোক বা রাজনীতি, মন দিয়ে কাজ করে এসেছি। কাজের প্রতি জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছি। আমাকে সম্মান জানানোর জন্য বিজেপিকে ধন্যবাদ। যে সাহসী নেতাদের হাতে গোটা দেশ নিরাপদ বোধ করে, তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে পারছি। আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের কাছে কৃতজ্ঞ আমি।’’

আরও পড়ুন: ভোটের কাজ থেকে অপসারিত, দায়িত্বে রত্না, অদ্ভুত ঔদাসীন্য দেখানোর চেষ্টায় শোভন​

আরও পড়ুন: কেমন কাজ করল মোদী সরকার? সমীক্ষা বলল, প্রায় সব ক্ষেত্রে মাঝারিরও নীচে নম্বর দিচ্ছেন মানুষ​

নব্বইয়ের দশকে প্রথম রাজনীতিতে পা রাখেন জয়াপ্রদা। এনটি রামারাওয়ের আমন্ত্রণে ১৯৯৪ সালে তেলুগু দেশম পার্টিতে (টিডিপি) যোগ দেন। তবে পরবর্তীকালে দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। যোগ দেন উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টিতে। ২০০৪ সালে নিজের রামপুর আসন থেকে জয়াপ্রদাকে প্রার্থী করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। ২০০৪ এবং ২০০৯, পর পর দুবার রামপুর থেকে জয়ী হন জয়াপ্রদা। কিন্তু অমর সিংহ শিবিরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার জেরে আজম খানের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে।

পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ২০০৯ সালে জয়াপ্রদার বিরুদ্ধে প্রচার অভিযান চালান আজম খানের সমর্থকরা। ওই বছরই আজম খানের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে তাঁর অশ্লীল ছবি ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন জয়াপ্রদা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন আজম খান। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ২০১০ সালে জয়াপ্রদাকে দলছাড়া করে সমাজবাদী পার্টি। তার পরও সুযোগ পেলেই আজম খানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে জয়াপ্রদাকে। গত বছর আজম খানকে পদ্মাবত ছবির আলাউদ্দিন খিলজির সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি।

(কী বললেন প্রধানমন্ত্রী, কী বলছে সংসদ- দেশের রাজধানীর খবর, রাজনীতির খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE