এক পক্ষের স্লোগান, ‘মোদী, আদানি ভাই ভাই, দেশ বেচকে খায়ে মালাই’! অন্য পক্ষের দাবি, ‘রাহুল গান্ধী মাফি মাঙ্গো’।আদানিকাণ্ড এবং রাহুল-মন্তব্যের জেরে আবারও উত্তাল হল সংসদের দুই কক্ষ। শেষ পর্যন্ত দিনের মতো মুলতুবি হয়ে গেল সংসদ।
শিল্পপতি গৌতম আদানির গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গঠনের দাবিতে মঙ্গলবার আবার সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ঘনিষ্ঠ’ আদানি সরকারি মদতেই আর্থিক অনিয়ম চালিয়েছেন বলে অভিযোগ তুললেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে সরকারপক্ষ দাবি তুলল, ব্রিটেন সফরে গিয়ে ‘দেশকে অপমানকারী’ রাহুল গান্ধীর ক্ষমাপ্রার্থনার। তার জেরে মঙ্গলবার প্রথমে বেলা ২টো পর্যন্ত, তার পরে দিনের মতো মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভা এবং লোকসভার অধিবেশন। অর্থাৎ, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিনেও কাজ হল না সংসদে।কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের ডাকে মঙ্গলবার বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে উপস্থিত ছিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)। তৃণমূল সাংসদেরা পৃথক ভাবে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান।
আরও পড়ুন:
কংগ্রেসের বৈঠকে না এলেও রাষ্ট্রায়ত্ত দুই সংস্থা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) এবং ভারতীয় জীবনবিমা নিগম (এলআইসি)-এর জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সেই বিক্ষোভেও ‘অদৃশ্য উপস্থিতি’ ছিল আদানি গোষ্ঠীর। কারণ, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে আদানি গোষ্ঠীতে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআই এবং জীবনবিমা সংস্থা এলআইসির বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উঠে এসেছে নানা আশঙ্কার কথা। যায় জেরে ‘ব্যাখ্যা’ দিতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট দু’টি সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে।