জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত গাড়ি।—ছবি পিটিআই।
অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল ইলাহাবাদের বিশেষ আদালত। তবে আর এক অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই জঙ্গিরা ইলাহাবাদের নৈনি জেলে বন্দি রয়েছে।
২০০৫ সালের ৫ জুলাই অযোধ্যার বিতর্কিত রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ চত্বরে হামলা চালিয়েছিল জইশ জঙ্গিরা। একটি জিপে করে জঙ্গিরা ওই বিতর্কিত এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে জিপটিকে নিয়ে সোজা নিরাপত্তা বেষ্ঠনী ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছিল তারা। ওই এলাকায় ঢুকেই গ্রেনেড ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান স্থানীয় গাইড রমেশ পান্ডে সহ আর এক জন স্থানীয় বাসিন্দা। পাঁচ জঙ্গি ঢুকে পড়ে মাতা সীতা রসুইয়ে। সিআরপির ৩৫ জন জওয়ানের সঙ্গে প্রায় ১ ঘণ্টা গুলি বিনিময় হয় তাঁদের। সে দিন মারা গিয়েছিল ওই পাঁচ জন জঙ্গিই। গুরুতর আহত হয়েছিলেন সিআরপির সাত জওয়ান।
কিছু দিনের মধ্যেই ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আসিফ ইকবাল, মহম্মদ আজিজ, মহম্মদ নাসিম, শাকিল আহমেদ নামে সন্দেহভাজন চার জনকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কয়েক দিন পরে পুলিশের জালে আসে ইরফান খান নামে সন্দেহভাজন আর এক জঙ্গি। জঙ্গিদের পরিকাঠামোগত মদত দেওয়া ও যড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় এদের সকলের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানতে পারে, ভক্ত সেজে অযোধ্যায় পৌঁছনোর চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। ঘটনার দিন সকালে আকবরপুর এলাকা থেকে একটি টাটা সুমো গাড়িতে তারা ফৈজাবাদে আসে। তার পরে একটি জিপ ভাড়া করে ঘটনাস্থলে।
জেল থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে অভিযুক্তদের বিচার চলছিল। এ দিন বিশেষ আদালতের বিচারক দীনেশ চন্দ্র জেলের ভিতরেই সাজা শুনিয়েছেন। মহম্মদ আজিজকে মুক্তি দিয়েছেন বিচারক। বাকিদের আজীবন কারবাসের সাজা শোনানো হয়েছে। চার জঙ্গিকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা করে
জরিমানাও করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে বলেছেন, যে এক জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তার ব্যাপারে ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে আইনি পরামর্শ নেবে রাজ্য সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy