বাঁ দিক থেকে নিহত ৩ বিজেপি কর্মী, ফিদা হুসেন, উমর রশিদ বেগ এবং উমর হাজাম। —ফাইল চিত্র।
উপত্যকায় বিজেপি কর্মীদের খুনে অভিযুক্ত লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্তের নাম জহুর আহমেদ রাথের। জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা জেলা থেকে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বছর সেখানকার ৩ বিজেপি কর্মী ফিদা হুসেন, উমর রশিদ বেগ এবং উমর হাজামকে খুনের পিছনে তার হাত ছিল বলে দাবি পুলিশের।
উপত্যকায় লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেসিসট্যান্স ফোর্সের (টিআরএফ)-এর সক্রিয় কর্মী জহুর। তদন্তের প্রয়োজনে তাকে শ্রীনগরে আনা হচ্ছে। উপত্যকা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অনন্তনাগ পুলিশের একটি দল গোপন অভিযান চালিয়ে জহুর ওরফে সাহিল ওরফে খালিদকে গ্রেফতার করেছে। সাম্বায় একটি গোপন ডেরায় গা ঢাকা দিয়েছিল সে। কুলগামের ফুরাহ্ এলাকায় এক পুলিশকর্মীকেও জহুর খুন করেছে বলে সন্দেহ পুলিশের।
গত বছর ২৯ অক্টোবর কুলগামের ওয়াইকে পোরা এলাকায় ওই ৩ বিজেপি কর্মী খুন হন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন রাত সওয়া ৮টা নাগাদ গাড়িতে চেপে যাচ্ছিলেন ওই ৩ বিজেপি কর্মী। সেই সময় পথ আটকে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। স্থানীয়দের উদ্যোগে তড়িঘড়ি ওই ৩ জনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। স্থানীয়রাই পরে পুলিশকে খবর দেন। আততায়ীরা অল্টো গাড়িতে চেপে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানান।
সেই সময় ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই ঘটনার সঙ্গে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের যোগ রয়েছে বলে নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে সেই সময় জানানো হয়। জানা যায়, ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার উপত্যকার জন্য সংরক্ষিত ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করার পরই টিআরএফ-এর জন্ম উপত্যকায়। মূলত রাজনীতিকরাই তাদের নিশানায়। ২০২০ সালে কাশ্মীরে ১১ জন রাজনীতিকের মৃত্যুর পিছনে টিআরএফ-এর হাত ছিল। এ মধ্যে ৯ জনই বিজেপি সদস্য ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy