— ফাইল ছবি।
পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে পাক মদতপুষ্ট তিন লস্কর জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের অবন্তীপুরায় ঘটা এই ঘটনাকে উপত্যকায় পুলিশের বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। মৃত জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছেন আদতে পুলওয়ামার বাসিন্দা মুখতার আহমেদ ভাট এবং সাকলিন মুস্তাক। তৃতীয় মৃত জঙ্গি মুশফিক পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, জাতীয় সড়কের আশেপাশে কোথাও বড় জঙ্গি হামলা সংগঠিত করার পরিকল্পনা ছিল মৃত তিন জঙ্গির। কিন্তু তার আগেই সেই খবর পৌঁছে য়ায় পুলিশের কাছে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েই এই তিন জনকে ধরাশায়ী করে পুলিশ। মৃতদের কাছ থেকে একটি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মুখতার আহমেদ ভাট লস্কর-ই-তৈবার ঘনিষ্ঠ জঙ্গি সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টে’র কমান্ডার পদমর্যাদায় ছিলেন। পুলওয়ামার বাসিন্দা মুখতার গত ১৮ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ তাঁর সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে জানতে পারে, মুখতার বাড়ি থেকে পালিয়ে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টে’ যোগ দিয়েছেন এবং পুলওয়ামা এলাকায় তিনি সক্রিয় ছিলেন। ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টে’র হয়ে প্রকাশ্য কার্যকলাপে অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত ছিলেন মুখতার। ক্রমশ কমান্ডার পদমর্যাদায় উন্নীত হন তিনি। কাশ্মীরে যুব সম্প্রদায়কে অস্ত্র ধরতে উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে মুখতারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও কাশ্মীর উপত্যকায় বসবাসকারী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পরিবারকে ভয় দেখানোর কাজেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন মুখতার। একাধিক খুনের ঘটনাতেও তাঁর হাত ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। রাজনৈতিক কর্মী এবং বাইরে থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের বিরুদ্ধেও অস্ত্র ব্যবহার করতেন মুখতার বলে জানা যাচ্ছে।
এই জঙ্গি নেতার মৃত্যুকে পুলিশের বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপেও অনেকটা লাগাম পরানো যাবে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy