অবশেষে স্থলসীমান্ত চুক্তি সংসদে আনতে চলেছে সরকার। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু আজ জানান, ‘‘৫ মে-র পর বিলটি সংসদে আনা হবে।’’ চলতি অধিবেশনেই এ’টি পাশ করিয়ে নেওয়া হবে বলে আশা তাঁর। সরকারি সূত্রে খবর, বিলটি কিছুটা সংশোধিত আকারে পাশ করা হবে। বিলের আওতা থেকে আপাতত বাদ দেওয়া হবে অসমকে। তবে পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ভূখণ্ড বিনিময়ের অংশটি একই থাকবে।
সূত্রের খবর, অসমের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে, ও রাজ্যে বিজেপির দাবি মেনে বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তিটি আংশিক রূপায়ণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে ঢাকার সঙ্গেও কথা হয়েছে। প্রথমে আপত্তি জানালেও ঢাকা রাজি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে ঢাকা সফরে গিয়ে জানান, স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবেন তিনি। মমতার সঙ্গে এ নিয়ে কেন্দ্রের কথা হয়েছে বলেও আজ জানিয়েছেন বেঙ্কাইয়া। বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, চুক্তিটি পাশ হলে প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হবে। চেষ্টা চলছে যাতে জুনেই ঢাকা সফরে যেতে পারেন মোদী। কূটনীতিকদের মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং অসম বিজেপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে মজবুত করা— এই দুইয়ের ভারসাম্য রক্ষায় এ ছাড়া অন্য উপায় ছিল না কেন্দ্রের। গত কয়েক মাস ধরেই বিজেপির অসম শাখার নেতারা এই বিল স্থগিত রাখতে দরবার করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কেন না এই চুক্তির ফলে অসমের ২৬৮.৩৯ একর জমি বাংলাদেশকে দিতে হবে। বিনিময়ে কোনও জমি তারা পাবে না। বিষয়টি অসমবাসীর আবেগের কাছে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় নেতৃত্বের হিসেবে, এই চুক্তিতে অসমকে সামিল করলে বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি হবে বিজেপির। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে অসমে ১৪টির মধ্যে ৭টিতে জিতে বিজেপি সেখানে জয়ের গন্ধ পেয়েছে। সে রাজ্যের সাম্প্রতিক পুর নির্বাচনেও ভাল ফল করেছে বিজেপি। ফলে আগামী বিধানসভা ভোটে রাজ্য দখল করাই অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy