সিবিআই আদালতে লালু। নিজস্ব চিত্র।
রাঁচীর সিবিআই আদালতে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় সশরীরে হাজিরা দিতে দিতে রীতিমতো নাস্তানাবুদ লালু।
প্রতি সপ্তাহে বুধবার বিকালে পটনা থেকে বিমানে রাঁচী আসতে হচ্ছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবকে। বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার টানা তিন দিন রাঁচীতে থেকে সিবিআই আদালতে সশরীরে হাজিরা দিয়ে ফের বিমানে শনিবার পটনায় ফিরে যাচ্ছেন তিনি। গত কয়েক মাস ধরে এটাই রুটিন তাঁর। এমনকী গত সপ্তাহে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যে দিন পদত্যাগ করলেন, সে দিন ওই রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেও রাঁচীতে এসে সিবিআই আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছিল লালুকে। দিন কয়েক আগে যে দিন লালুর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চললো, সে দিনও লালু ছিলেন রাঁচীতেই। অনেকে তাই টিপন্নি কেটে বলছেন, এ তো দেখছি আর পাঁচটা ছাপোষা মানুষের মতোই ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতে হচ্ছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে!
রাঁচী থেকে আর্যভট্ট খানের প্রতিবেদন
এ দিন শিবপাল সিংহ, প্রদীপ কুমার ও সাওয়ন কুমার প্রসাদের এজলাসে হাজিরা ছিল লালুর। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দেওঘর ট্রেজারি ও চাইবাসা ট্রেজারির মামলার শুনানি হল ওই তিন এজলাসে। শিবপাল সিংহের আদালতের শুনানি অন্য আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পিটিশন দাখিল করেন লালু। সেই পিটিশন ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালুর আইনজীবী।
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলা ন’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। তাই বারবার লালুর রাঁচীতে আগমন। এ দিন হাজিরা দিয়ে তিনি বার অ্যাসোশিয়েশনে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে সোজা চলে যান রাঁচীর মোরাবাদীর রাজ্য অতিথিশালায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy