Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National news

কেরল সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ কাণ্ডের এক সাক্ষীর মৃত্যু, খুন নাকি আত্মহত্যা? ধন্দে পুলিশ

রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল কেরল সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ কাণ্ডের এক সাক্ষী, চার্চের ফাদারের। সোমবার ঘর থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে পরিবারের দাবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
কোট্টায়াম শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:০০
Share: Save:

রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল কেরল সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ কাণ্ডের এক সাক্ষী, চার্চের ফাদারের। সোমবার ঘর থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে পরিবারের দাবি।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ফাদারকুরিয়াকোস কাট্টুথারা। তিনি পঞ্জাবের হোসিয়ারপুর জেলার সেন্ট পলস চার্চের ফাদার। ওই চার্চেই নিজের ঘরেই তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরই এক সহকর্মী। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।

তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। কারণ তাঁর ঘরে রক্তচাপ বাড়ানোর ওষুধ পাওয়া গিয়েছে এবং মৃত্যুর আগে প্রচুর বমিও করেছেন তিনি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তাঁর ভাই পুলিশে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি পুলিশ এ-ও জানার খোঁজ করছেন, রক্তচাপ বাড়ানোর ওষুধ তাঁর ঘরে কী ভাবে এল?

আরও পড়ুন: ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নন রাহুল, জানালেন চিদম্বরম

কেরলে সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ কাণ্ডে যে ক’জন সন্ন্যাসিনীর পক্ষে সাক্ষী ছিলেন এই বিশপ তাঁদের একজন।সম্প্রতি একটি সাংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।অভিযুক্ত ওই বিশপের বিরুদ্ধে মুখ খুললে কী পরিণতি হতে পারে তা নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কায় ছিলেন ফাদার।তিনি ছাড়া আর যে সমস্ত সন্ন্যাসিনী অভিযুক্ত বিশপের বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়েছিলেন তাঁরাও এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘‘এই খবরটা আমাদের ভীষণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে কোনও রহস্য রয়েছে। তবে আমাদের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই তিনি কোনও যোগাযোগ রাখেননি। খুব চাপে ছিলেন।’’

আরও পড়ুন: ‘গুলাম’-এর দৃশ্য নকল করে ট্রেনের মুখোমুখি দৌড়! চম্পাহাটিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল যুবকের দেহ

কেরলের কোট্টায়ামের সাইরো-মালাবার ক্যাথলিক চার্চের ঘটনা। জালন্ধরের রোমান ক্যাথলিক ডায়সেসের অধীন এই চার্চটি। ওই চার্চেরই এক সন্ন্যাসিনীর অভিযোগ, ২০১৪ সালে মে মাসে কুরাভিলাঙ্গারের একটি গেস্ট হাউসে তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই চার্চের বিশপফ্রাঙ্কো মুলাক্কাল। তিনি চার্চ কর্তৃপক্ষকে অভিযোগও জানান। কিন্তু তাঁর অভিযোগকে এতটুকু আমল দেননি চার্চ কর্তৃপক্ষ। তার পর বিভিন্ন সময়ে তাঁকে যৌন হেনস্থা করতে শুরু করেন বিশপ। সব মিলিয়ে মোট ১৩ বার তাঁকে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, চার্চ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনওরকম সাহায্যের আশ্বাস না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন তিনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE