Advertisement
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Kerala CPM MLA

ধর্ষণের মামলায় কেরলের সিপিএম বিধায়ককে গ্রেফতার করল পুলিশ, আগাম জামিন থাকায় মিলল মুক্তি

ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত কেরলের সিপিএম বিধায়ক এম মুকেশ আগেই আগাম জামিন নিয়েছিলেন আদালত থেকে। মঙ্গলবার তাঁকে প্রথমে গ্রেফতার করে সিট। পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

কেরলের সিপিএম বিধায়ক এম মুকেশ।

কেরলের সিপিএম বিধায়ক এম মুকেশ। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২৯
Share: Save:

ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত কেরলের সিপিএম বিধায়ক তথা অভিনেতা এম মুকেশকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে আগাম জামিন থাকায় দিনের দিন মুক্তিও পেয়ে গেলেন তিনি। মঙ্গলবার মুকেশ হাজিরা দেন বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) কাছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, কেরল পুলিশ তাঁকে প্রথমে গ্রেফতার করে এবং পরে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। গ্রেফতারির আশঙ্কায় চলতি মাসের শুরুতেই এর্নাকুলমের এক আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন তিনি। সিপিএম বিধায়কের আইনজীবীকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, বিধায়ককে গ্রেফতারের পর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয় এবং পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মুকেশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন এক অভিনেত্রী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করে পুলিশ। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠার পর থেকেই বিধায়কের ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত মুকেশ।

মুকেশ-সহ মালয়ালি চলচ্চিত্র জগতের একাধিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। গত মাসে হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকে একাধিক অভিনেতা ও পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে সাত সদস্যের একটি সিট গঠন করে পিনারাই বিজয়নের সরকার।

মুকেশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পর থেকেই কেরলের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট বিধায়কের ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছে। এমনকি এলডিএফের শরিক সিপিআই নেত্রী অ্যানি রাজা বুধবার মুকেশের ইস্তফা চেয়ে জোটের অন্দরে সরব হয়েছিলেন বলে একটি সূত্রে খবর। তবে কেরলে ক্ষমতাসীন বাম জোট এলডিএফের আহ্বায়ক তথা বাম নেতা ইডি জয়রাজন জানিয়ে দিয়েছিলেন, মুকেশের ইস্তফা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। জয়রাজনের বক্তব্য ছিল, ‘‘এর আগে কংগ্রেসের বিধায়ক এম ভিনসেন্ট এবং এলধোস কুন্নাপিলির বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তাঁরা কেউই ইস্তফা দেননি। আগে তাঁরা পদত্যাগ করুন। তার পরে মুকেশের বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kerala CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE