প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের ঘটনায় অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডের মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক আবহ সরগরম হতে শুরু করেছে। অক্ষয়কে ভুয়ো এনকাউন্টারে মারা হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই দাবি তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। শুধু তাই-ই নয়, তাঁদের আরও দাবি, যে স্কুলে দুই পড়ুয়ার যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে, সেই স্কুলটি বিজেপি নেতার। আর এই সূত্র ধরেই বিরোধী শিবির প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, তা হলে কি নেপথ্যে কোনও চক্রান্ত রয়েছে?
অক্ষয়কে ‘চক্রান্ত’ করেই মারা হয়েছে, ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবার এই অভিযোগ তুলেছে। এ বার বিরোধীদের কণ্ঠেও সেই একই সুর শোনা গেল। রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ আবার প্রশ্ন তুলেছেন, ‘হাতকড়া’ পরা অবস্থায় কী ভাবে গুলি চালাতে পারেন অভিযুক্ত? তাঁর কথায়, ‘‘অক্ষয়ের দু’টি হাতই যদি বাঁধা থাকে, তা হলে কী ভাবে তিনি গুলি চালালেন পুলিশকে লক্ষ্য করে? যে স্কুল ঘিরে এত কাণ্ড, সেটি এক জন বিজেপি নেতার। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্যই এনকাউন্টার করে মামলাটি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।’’
এনসিপি (শরদ) সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের অভিযোগ, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। অন্য দিকে, কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চৌহান এই ঘটনাকে মহারাষ্ট্র পুলিশের ‘কালা দিবস’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে অভিযুক্তকে। কেউ বিশ্বাস করবে না, এটি এনকাউন্টারের ঘটনা। সুপ্রিম কোর্টে এর বিচার হওয়া উচিত। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত অক্ষয়কে গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইনস্পেক্টরের পিস্তল ছিনিয়ে নেন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। সেই ঘটনায় তিন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy