Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ক্ষমতার অধিকার নিয়ে মিটল না কেজরী-বৈজল দ্বন্দ্ব

বৈঠক শেষে হতাশ কেজরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ছাড়পত্রের জন্য সব ফাইল উপরাজ্যপালের কাছে পাঠানোর যে দরকার নেই, তা বৈজল মেনে নিয়েছেন। কিন্তু আমলাদের বদলি-নিয়োগের মতো বিষয়টি নিয়ে তিনি সহযোগিতা করতে রাজি নন।’’

অরবিন্দ কেজরীবাল, মণীশ সিসৌদিয়া।— ফাইল চিত্র।

অরবিন্দ কেজরীবাল, মণীশ সিসৌদিয়া।— ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৮ ০৪:১৮
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ, উপরাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক সবই হল। কিন্তু ক্ষমতার অধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব মিটল না দিল্লিতে।

দু’দিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, উপরাজ্যপাল প্রশাসনিক প্রধান হলেও মূল ক্ষমতা থাকবে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের হাতেই। ওই রায় আসার পরেই দিল্লির বিভিন্ন দফতরের শীর্ষ আমলাদের বদলির সিদ্ধান্ত নেন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। কিন্তু সেই নির্দেশ যথারীতি বাতিল করে দেয় কর্মীবৃন্দ দফতর। জানিয়ে দেওয়া হয়, আমলাদের বদলির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন একমাত্র উপরাজ্যপাল। তাই সিসৌদিয়ার নির্দেশ মানা সম্ভব হচ্ছে না।

আজ বিষয়টির সমাধান করতে উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেজরীবাল। বৈঠক শেষে হতাশ কেজরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ছাড়পত্রের জন্য সব ফাইল উপরাজ্যপালের কাছে পাঠানোর যে দরকার নেই, তা বৈজল মেনে নিয়েছেন। কিন্তু আমলাদের বদলি-নিয়োগের মতো বিষয়টি নিয়ে তিনি সহযোগিতা করতে রাজি নন।’’

সুপ্রিম কোর্ট দু’দিন আগে তাদের রায়ে পুলিশ, জমি ও আইনশঙ্খলার মতো তিনটি বিষয়ে উপরাজ্যপালের তথা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকবে বলে জানায়। আজ সেই যুক্তি তুলে কেজরীবাল উপরাজ্যপালকে বলেন, ওই তিনটি বিষয়ের মধ্যে আমলাদের বদলির বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনও মন্তব্য করেনি। তাই ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দিল্লি সরকারের। কিন্তু সেই যুক্তি মানতে অস্বীকার করেন বৈজল। আপ শিবিরের দাবি, আমলাদের বদলি-নিয়োগের ক্ষমতা ছাড়তে রাজি নয় কেন্দ্র। সে কথা উপরাজ্যপালের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। তাই আজকের বৈঠকে কেজরীবালদের যুক্তি শুনতে অস্বীকার করেন বৈজল। হতাশ কেজরী বলেন, ‘‘সম্ভবত ইতিহাসে প্রথম বার সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানতে চাইছে না কেন্দ্র।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE