কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ঘটনাস্থল। ছবি: পিটিআই
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের সন্দেহটা গিয়ে পড়ে লস্কর এবং হিজবুলের উপর। মঙ্গলবার সকালেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়ে দেয়, সোমবার রাতে অমরনাথে জঙ্গি হামলার পিছনে হাত রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার। পুলিশের দাবি, ওই হামলার মাস্টারমাইন্ড পাক জঙ্গি আবু ইসমাইল। পাকিস্তানে বসেই এই হামলার ছক কষা হয়।
গত রাতের ওই জঙ্গি হামলার পর এ দিন সকালেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল-সহ সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির উচ্চ পদস্থ কর্তারা। পাশাপাশি এ দিন সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন জম্মু কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হংসরাজ আহির এবং সিআিপিএফ-এর জেনারেল ডিরেক্টর আরআর ভাটনগর।
আরও পড়ুন: বাকি ৫০ জন বেঁচে ফিরলেন শুধু সেলিমের জন্যই
জঙ্গি হামলার ঘটনাস্থল
এ বছর অমরনাথ যাত্রায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা ছিল প্রথম থেকেই। আর সে কারণেই কার্যত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল। এমনকী, এ বছরই অমরনাথ যাত্রায় সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার সন্ধ্যায় অনন্তনাগে যাত্রিবাহী বাসে জঙ্গি হামলায় নিহত হন এক মহিলা-সহ সাত পূণ্যার্থী। নিহতদের মধ্যে পাঁচ জন গুজরাত এবং বাকি দু’জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। জঙ্গিদের গুলিতে আহত হয়েছেন তিন পুলিশকর্মী-সহ মোট ২০ জন। এঁদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
আহত এক যাত্রী। ছবি: পিটিআই
পুলিশ ও সিআরপি সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধে সোয়া আটটা নাগাদ জনা তিনেক জঙ্গি মোটরবাইকে চেপে বিভিন্ন জায়গায় পরপর হামলা চালিয়ে উধাও হয়েছে। প্রথমে তারা অনন্তনাগের খান্নাবলে বাহিনীর চেকপোস্টের উপরে গুলি চালিয়ে বাতেঙ্গু এলাকার দিকে পালায়। সে সময় বাতেঙ্গুতে শ্রীনগর-জম্মু সড়কের উপরে অমরনাথ যাত্রীদের একটি গাড়ি যাচ্ছিল। সেই বাস লক্ষ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। অন্ধকারের সুযোগে দ্রুত গা ঢাকা দেয় তারা। বাতেঙ্গু থেকে পালানোর সময়ে আরওয়ানিতেও বাহিনীর শিবির লক্ষ করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করেছে বাহিনী। আজ বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি শুরু করার কথা বাহিনীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy