ছবি: সংগৃহীত।
যৌনাঙ্গে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। দেহের বিভিন্ন জায়গায় পাথর দিয়ে থেঁতলে মারার দাগ। মঙ্গলবার এ ভাবেই উদ্ধার হল কর্নাটকের এক রাজনীতিকের দেহ। ঘটনাচক্রে, দিন কয়েক পরে তিনি বিজেপিতে যোগদান করতেন বলে দাবি।
পুলিশ জানিয়েছে, জনতা দল (সেক্যুলার)-এর প্রাক্তন নেতা মল্লিকার্জুন মুত্যল (৬৪)-এর বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকানে তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে ওই দোকানে ঘুমিয়েছিলেন মল্লিকার্জুন। মঙ্গলবার সকালে ওই দোকানের ভিতর তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়েছিল। খুনের আগে দোকানে লুটপাটও চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, খুনের এক দিন আগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের একটি কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন কলবুর্গী জেলার বাসিন্দা মল্লিকার্জুন। তাঁর দোকান থেকে টাকাপয়সা লুটের পাশাপাশি বেশ কিছু কাগজপত্রও লোপাট করা হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, ডাকাতি করার উদ্দেশ্যেই দোকানে ঢুকেছিলেন দুষ্কৃতীরা। যদিও এই খুনের পিছনে অন্য কারণও থাকতে পারে।
সংবাদমাধ্যমের কাছে মল্লিকার্জুনের ছেলে ভেঙ্কটেশ বলেন, ‘‘বাবার দোকানে আগে এক বার চুরি হয়েছিল। তার পর থেকে দোকানেই ঘুমোতেন তিনি। আমার সন্দেহ চুরি করার জন্যই এ কাণ্ড ঘটেছে। বাবাকে নৃশংস ভাবে খুন করে দোকানের টাকাপয়সা আরও কিছু কাগজপত্র নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।’’
এই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ঈশা পন্থ নামে পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘মল্লিকার্জুন মুত্যলের একটি বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকান ছিল। সেখানেই ঘুমিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে নিহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহতের যৌনাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মনে হচ্ছে, পাথর দিতে তাঁকে আঘাত করা হয়েছিল।’’
কর্নাটকের কোলি কবালিগা সম্প্রদায়ের এই নেতা কালবুর্গী মহকুমায় সভাপতিও ছিলেন। প্রসঙ্গত, উত্তর কর্নাটকে বোক্কালিগা, লিঙ্গায়েত এবং কুরুবা সম্প্রদায়ের পরেই এই কোলি কবালিগার স্থান রয়েছে। সম্প্রতি জেডি(এস) ছেড়েছিলেন মল্লিকার্জুন। তার পর থেকে তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন বলে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy