বিন্দু ও কনকদুর্গা (ডান দিকে)। ফাইল চিত্র
শবরীমালা মন্দিরে ঢোকার ‘শাস্তি’ দিতে লাঠিপেটা করেছিলেন শাশুড়ি। হাসপাতালে চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর এক সপ্তাহও কাটল না। এ বার সেই কনকদুর্গাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকজন। জেলা ভায়েলন্স প্রোটেকশন অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন কনক দুর্গা। সেই অভিযোগ আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
গত ২ জানুয়ারি শবরীমালা কনক দুর্গা এবং বিন্দু আম্মিনি শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেন। তাঁরা দু’জনই প্রথম মহিলা যাঁরা শবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী বয়সে প্রবেশ করেন। ওই ঘটনার পর থেকেই তাঁদের উপর আক্রমণের আশঙ্কায় পুলিশি নিরাপত্তায় কোচির একটি অজ্ঞাত জায়গায় রাখা হয়। এর পর ১৫ জানুয়ারি কনক দুর্গা বাড়িতে ফিরলে তাঁর শাশুড়ি তাঁকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। তাঁকে কোঝিকোড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর কয়েক দিন তাঁকে একটি সরকারি হোমে পুলিশি নিরাপত্তায় রাখা হয়েছিল।
এর পর মঙ্গলবার পুলিশ ফের তাঁকে নিয়ে যায় বাড়িতে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে বাড়ি ঢুকতে দিতে চাননি। তাঁর স্বামী কনকদুর্গাকে দেখেই সদর দরজায় তালা দিয়ে মা এবং দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কেউ ফিরে না আসায় ফের পুলিশ তাঁকে ওই হোমে নিয়ে যায়। আপাতত ওই হোমই ঠিকানা কনকদুর্গার।
আরও পডু়ন: ফের গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে দম্পতি, মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ বিচারপতির
আরও পড়ুন: জরিমানা দিতে না পারায় বাস চালককে চড় ট্রাফিক পুলিশের, প্রতিবাদে যাত্রীরা
কনক দুর্গা এবং বিন্দু আম্মিনিকে ২৪ ঘণ্টার পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতোই একটি সরকারি হোমে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছেন দুই মহিলা। একই সঙ্গে তাঁদের বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, কনক দুর্গার অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত কী নির্দেশ বা রায় দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তারা।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy