ফাইল চিত্র।
লখিমপুর খেরির কৃষক মৃত্যুর ঘটনায় যখন দেশ জুড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়েই ওই রাজ্যের রাজধানী লখনউয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সব ঠিক থাকলে, কাল সকালে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের একটি সম্মেলন এবং প্রদর্শনীর (আজাদি@৭৫) উদ্বোধন করতে তিনি উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে হিন্দি বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যে শাসক এবং বিরোধী দলগুলির সক্রিয়তা শুরু হয়েছে।, চলতি মাসে সেখানে বেশ কিছু শীর্ষ নেতানেত্রীকে দেখতে পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক অতীতে দু’বার উত্তরপ্রদেশে গিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজে। এ ছাড়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহের শেষকৃত্যে যোগ দিতে তিনি ওই রাজ্যে গিয়েছিলেন।
শুধু মোদীই নন, এত দিন যাঁদের সে ভাবে ময়দানে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি, সেই বিএসপি এবং কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকেও এই অক্টোবরেই তৎপর হতে দেখা যাবে। আগামী ৯ অক্টোবর বহুজন সমাজ পার্টি-র প্রতিষ্ঠাতা কাঁশীরামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে লখনউয়ে জমায়েতে যোগ দেবেন দলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত হবেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। লখনউয়ে তিনি যাবেন কাঁশীরাম মেমোরিয়ালে। গত দেড় বছর মায়াবাতীকে সে ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায়নি। কিন্তু ভোট আসতেই সক্রিয়তা বাড়াচ্ছেন বিএসপি নেত্রী। লখিমপুর খেরির ঘটনায় রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। এর পর মায়াবতীর সম্মেলনের ঠিক পরের দিন, অর্থাৎ ১০ অক্টোবর ফের তিনি পাঁচ দিনের সফরে পৌঁছবেন উত্তরপ্রদেশে। বারাণসী থেকে তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করার কথা।
বিজেপির উত্তরপ্রদেশের ভোট-কৌশলে এ বার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ওবিসি এবং তফসিলিরা। ওবিসি ও তফসিলিদের হিন্দুত্বের পরিচয় তুলে ধরতে চাইছে পদ্মশিবির। সূত্রের খবর, যাদব, কুর্মি, নিশাদ, রাজভড়, কাশ্যপ-সহ মোট ২২টি জাতকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি জাতের পৃথক সম্মেলন করা হবে লখনউয়ে। প্রতিটি জেলা থেকে সংশ্লিষ্ট জাতের ১৫ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ডাকা হবে সেখানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy