রাস্তার ১০টি কুকুরকে খুনের অভিযোগে এক যুবককে খুঁজছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, চারটি কুকুর এবং ছ’টি ছানাকে খুনের পরে তাদের মাটিতে কবর দিয়েছিলেন যুবক। তার পরে সেই কবরে নিয়ম করে দিতেন জল, বিস্কুট, ফুল। স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ার পরে এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘কালাজাদু’ করতেন ওই যুবক। কেউ দাবি করেছেন, তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ।
এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। কানপুরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসিপি) মহেশ কুমার জানিয়েছেন, সমাজমাধ্যমে বিষয়টি প্রথম চোখে পড়ে কিদোয়াই নগর পুলিশের। এর পরেই খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে পুলিশ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পারে, এলাকার বেশ কিছু কুকুর সম্প্রতি উধাও হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন স্থানীয় এক যুবক। প্রাথমিক তদন্তের পরে ওই যুবককে ঘিরে পুলিশেরও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কিদোয়াই নগরে পুরসভার একটি ট্যাঙ্ক রয়েছে। সেই ট্যাঙ্কের কর্মীদের জন্য একটি ঘর তৈরি করিয়েছিল পুরসভা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরে ওই ঘরেই থাকছিলেন অভিযুক্ত কাল্লু। তাঁর ঘরের আশপাশে ওই কুকুরগুলিকে খেলা করতে দেখা যেত। স্থানীয়দের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে কুকুরগুলিকে দেখা যায়নি। এই নিয়ে কাল্লুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, কুকুরগুলিকে কেউ খুন করেছেন। তিনি তাদের নিজের ঘরের পিছনে কবর দিয়েছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাল্লুর ঘরের আশপাশে সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তা দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। এর পরেই তারা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশও এগিয়ে এসে তদন্ত শুরু করে। যদিও তত ক্ষণে ফেরার অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজ করছে পুলিশ।