সম্প্রতি হাওড়ার পাঁচ জন নাবালকের রক্তে পাওয়া গিয়েছে ফাইলেরিয়াসিসের সন্ধান। এতে চিন্তা বেড়েছে সাধারণ জনগণ থেকে স্বাস্থ্য কর্তাদের। রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশে নেওয়া হয়েছে বিশেষ কর্মসূচি। ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগ নির্মূল করতে সক্রিয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার থেকে হাওড়ায় শুরু হল বিশেষ কর্মসূচি। চলবে ২ মার্চ পর্যন্ত।
পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে ফাইলেরিয়া রোগ নির্মূলিকরণে সোমবার থেকে শুরু হল মাস ড্রাগ আইডমিনিষ্ট্রেশন কর্মসূচি (এমএফএ)। এই কর্মসূচি চলবে আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত। হাওড়ার শরৎ সদনে সোমবার বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পি দিপাপ প্রিয়া, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিশলয় দত্ত, পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী-সহ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। ফাইলেরিয়া রোগ নির্মূল করার জন্য শপথ নেওয়া হয় এই অনুষ্ঠানে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মশাবাহিত রোগে রাজ্যে ৩২,৬৩৮ জন রোগী আক্রান্ত। হাওড়ায় ৩৮ জন। সম্প্রতি পাঁচ জন স্কুল ছাত্রের শরীরে এই রোগের উপসর্গ দেখা যায়। জেলাশাসক জানান, এই রোগ প্রতিরোধ না করলে গোদের উপসর্গ দেখা যাবে। তখন ওষুধ দিয়ে এর নিরাময় সম্ভব হয় না। তাই রোগ প্রতিরোধের জন্য দু’ধরনের ওষুধ খাওয়ানো হবে। হাওড়া ও বালি পুরসভা-সহ ডোমজুড়, পাঁচলা, বালি জগাছা ও সাঁকরাইল ব্লকের মানুষকে এই ওষুধ দেওয়া হবে। তার আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা এই অসুখ সম্পর্কে বোঝাবেন। গর্ভবতী মহিলা, দু’বছরের কম বয়সি শিশু ও দুরারোগ্য অসুখের রোগীদের এই ওষুধ দেওয়া হবে না। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক বলেন, “২০২৭ সালের মধ্যে ফাইলেরিয়া মুক্ত সমাজ গড়ে তোলাই লক্ষ্য।”