ফাইল চিত্র।
ঢের হয়েছে স্মার্টফোন! এ বার ফিচার ফোনেই ফিরতে চাইছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্ত। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও বললেন, ‘‘ঠিক বলেছেন। এখন মনে হচ্ছে, স্মার্টফোন ছেড়ে দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আমাদের কয়েক জন তো ইতিমধ্যে ফিচার ফোন ব্যবহার শুরুও করে দিয়েছেন।’’ কারণ একটাই। দু’জনেই মনে করছেন, স্মার্টফোনের প্রযুক্তি ইদানীং বিপজ্জনক চেহারা নিয়েছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ— শুধু ইন্টারনেট নয়, গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারও।
তা হলে উপায়? কেন্দ্রকে আজ তিন সপ্তাহ সময় দিল বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ। ইন্টারনেট তথা সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার রুখতে সুস্পষ্ট একটি নির্দেশিকা তৈরিতে ঠিক কতটা সময় লাগবে, এর মধ্যেই তা জানাতে হবে সুপ্রিম কোর্টকে। প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্রের কাছে নির্দেশিকার একটি খসড়াও চেয়েছে আদালত। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে বিভিন্ন হাইকোর্টে। কিন্তু ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ কর্তারা চাইছেন, এই সব মামলা সুপ্রিম কোর্টে আসুক। প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্রও জানিয়েছে, তাদের আপত্তি নেই। এই সংক্রান্ত আর্জির শুনানিতেই আজ সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ফের ইন্টারনেট তথা সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করল। বিচারপতি গুপ্তর কথায়, ‘‘এখন তো ইন্টারনেটে একে-৪৭ পর্যন্ত কেনা যাচ্ছে! ভাবতে পারছেন? এতে তো দেশেরও সমূহ বিপদ। এ সব আটকাতে কড়া আইন আনতেই হবে।’’
সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার কী ভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা নিয়েও আজ আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। যে বা যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ারও পদক্ষেপ করা উচিত বলে মন্তব্য করে বেঞ্চ। বিশেষ কোনও ইউজ়ারকে চিহ্নিত করার উপায় হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করা নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছে। কেন্দ্র আদৌ এ নিয়ে কিছু ভাবছে কি না, জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ সেই প্রসঙ্গে বিচারপতি গুপ্ত আজ মেহতাকে ফের বলেন, ‘‘প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ যা করার, কেন্দ্রকেই করতে হবে। এ সব কী আর কোর্টের কাজ?’’
সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে আধার লিঙ্ক মামলার প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই রায় দিতে পারছে না। সূত্রের খবর, বিতর্কিত কোনও পোস্টের মূল ইউজ়ারকে চিহ্নিত করতে হাইকোর্টকে সাহায্য করেছেন আইআইটি-র এক অধ্যাপক। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সঙ্গে আপস না-করে এ ভাবেই ‘অপরাধী’ চিহ্নিত করে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার রুখতে হবে বলে আজ মন্তব্য করে শীর্ষ আদালতও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy