এক আলফায় রক্ষা ছিল না। এখন জেহাদিও দোসর!
গত কাল ট্রেনে উদ্ধার হওয়া আইইডি নিয়ে সন্দেহের তির ছিল আলফা বা কেএলওর দিকে। আজ রাজ্য পুলিশের ডিজি আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, ওই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে জেহাদিরাও। ২৯ ও ৩০ নভেম্বর গুয়াহাটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই সময়ই রাজধানীতে বসবে সারা দেশের ডিজিপি’দের বৈঠক। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, ওই দু’দিন জঙ্গিদের মূল ‘টার্গেট’ হতে পারে গুয়াহাটি। মোদীর সফরের ঠিক আগে ট্রেনে শক্তিশালী আইইডি উদ্ধারের পর শুধু আলফা নয়, জেহাদি হানার আশঙ্কাও ঘিরেছে অসম পুলিশকে।
কাল কামাখ্যাগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের কামরা থেকে উচ্চশক্তির বোমা উদ্ধার করা হয়। প্রথমে সন্দেহ ছিল কেএলওর দিকে। কিন্তু এনআইএ জানায়, সম্ভবত প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আলফা জঙ্গিরা বোমাটি নিয়ে আসছিল।
অসম পুলিশ জানায়, কাল উদ্ধার হওয়া ওই আইইডি যে ভাবে তৈরি করা হয়েছিল তাতে জেহাদিদের যোগসূত্রের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্য পুলিশের ডিজি খগেন শর্মা বলেন, “বোমাটির সঙ্গে জেহাদিদের সম্পর্ক থাকতে পারে। আলফা জঙ্গিদেরও সন্দেহের বাইরে রাখা হচ্ছে না।” পুলিশের সন্দেহ, জেহাদিরা এ জন্য আলফার সাহায্যও নিতে পারে। খাগড়াগড়-কাণ্ডের সঙ্গে অসমের বরপেটার বাসিন্দা জেএমবি নেতা শাহানুর আলমের যোগাযোগের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। তাই মোদীর সভা নিয়ে সতর্ক পুলিশ।
সরুসজাই স্টেডিয়ামে মোদী প্রায় ৫০ হাজার লোকের সামনে বক্তৃতা দেবেন। সেখানে এ দিন স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্তাদের সঙ্গে পুলিশ অফিসারদের বৈঠক হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব এল এস সাংসান জানান, মোদীর সভায় অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে তাঁরা তৎপর। একই সময় গুয়াহাটিতে হবে ডিজিপি বৈঠকও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ওই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। কামরূপ মহানগরের এসএসপি আনন্দপ্রকাশ তিওয়ারি জানান, শহরের সব প্রবেশ পথ, সংবেদনশীল এলাকা, স্টেশন, জলপথে ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী গগৈ আজ বলেন, “সন্ত্রাস জিইয়ে থাকার ক্ষেত্রে কেন্দ্রও নিজেদের দায়িত্ব এড়াতে পারে না। রাজ্যে সক্রিয় সব জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটিই দেশের বাইরে। জঙ্গি দমনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীরও দায়িত্ব থাকে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy