Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

বিজেপি হটাতে জিগ্নেশ পাশে চান বামেদেরও

গুজরাত ভোটে সাফল্যের পর অন্যত্রও বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়া করতে বদ্ধপরিকর দলিত নেতা জিগ্নেশ মেবাণী। আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারাতে দলিতদের সঙ্গেই আদিবাসী, সংখ্যালঘু এমনকী বামেদেরও পাশে চাইছেন তিনি।

জিগ্নেশ মেবাণী। ফাইল চিত্র।

জিগ্নেশ মেবাণী। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০০
Share: Save:

গুজরাত ভোটে সাফল্যের পর অন্যত্রও বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়া করতে বদ্ধপরিকর দলিত নেতা জিগ্নেশ মেবাণী। আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারাতে দলিতদের সঙ্গেই আদিবাসী, সংখ্যালঘু এমনকী বামেদেরও পাশে চাইছেন তিনি। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের সঙ্গেই হবে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোট। সে রাজ্যেও বিজেপিকে সরিয়ে নতুন কোনও দলের সরকার হোক, চান তিনি। সে জন্য মহারাষ্ট্রেও তাঁর সংগঠন ‘রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকার মঞ্চ’-এর শাখা চালু করবেন মেবাণী।

পুণের ভীমা কোরেগাঁওয়ে পেশোয়াদের বিরুদ্ধে দলিতদের যুদ্ধ জয়ের দু’শো বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে আজ জিগ্নেশ বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীদের একটি মঞ্চ হবে। মহারাষ্ট্রে দলিত আন্দোলনের বৈপ্লবিক ইতিহাস রয়েছে। সত্তরের দশকে যে ভাবে দলিত সংগঠনগুলি মহারাষ্ট্রে সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়েছিল, সেই সাফল্যেরই পুনরাবৃত্তি চাই।’’

ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ লিখেছেন, ২০১৭-য় অন্যতম আশার দিক দলিতদের আন্দোলন। সেই আন্দোলনের মুখ হিসেবেই গুজরাতে সাফল্য পেয়েছেন জিগ্নেশ। সেই সাফল্যকে ছড়িয়ে দিতে দেশজুড়ে দলিতদের এককাট্টা করতে সক্রিয় হয়েছেন তিনি। এবং দলিতদের সেই মঞ্চে আদিবাসী, সংখ্যালঘু থেকে হিন্দু, এমনকী কমিউনিস্টদেরও চাইছেন এই দলিত নেতা। জিগ্নেশের মতে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে সব বিরোধী দল ও সংগঠন এক হলে বিজেপিকে হারানো কঠিন নয়। তবে ভোটের লড়াইয়ের আগে রাস্তায় নেমে আন্দোলনটাও জরুরি। তাঁর যুক্তি, ‘‘আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই হারাতে হবে। কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে ২০১৮-য় ভোট। যে-ই জিতুক না কেন, আমি চাই বিজেপির হারুক। যাঁরা জয় ভীম বলেন, যাঁরা লাল সেলাম বলেন, যাঁরা রাম বা আল্লাকে বিশ্বাস করেন, যাঁরা নাস্তিক— সকলেই বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়ুন। গুজরাতে আমরা ওদের ১০০-র নীচে নামিয়ে এনেছি। ২০১৯-এর লোকসভাতেও ওদের ১০০-র কমে নামিয়ে আনা সম্ভব।’’

গুজরাতে যেমন সংখ্যায় বেশি হয়েও সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন করেছেন পটেল বা পাতিদারেরা, তেমনই মহারাষ্ট্রেও সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন করছেন মরাঠারা। গুজরাতে জিগ্নেশের সঙ্গী তথা পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেল সেই আন্দোলনে যোগও দিয়েছিলেন। জিগ্নেশের কথায়, ‘‘আসলে জাতপাত নয়, রুটিরুজির অভাব থেকেই এই সংরক্ষণের আন্দোলন হচ্ছে। মরাঠা, পাতিদার, দুই আন্দোলনেরই মূলে রয়েছে কৃষিতে সঙ্কট ও বেকারি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE