Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

হরিয়ানায় মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন, জাঠ বিক্ষোভে পুলিশের গুলি, হত ১

জাঠ বিক্ষোভে উত্তাল হরিয়ানা। সংরক্ষণের দাবিতে পথে নামা আন্দোলনকারীরা আগুন ধরিয়ে দিল রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অভিমন্যুর বাড়িতে। রাজ্যজুড়ে চলল বিক্ষোভ, অবরোধ। অগ্নিসংযোগ হল পুলিশের গাড়িতেও। রোহতকে পুলিশের গুলিতে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে।

হরিয়ানার রোহতকে জাঠ বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে মোটরবাইকে। ছবি: পিটিআই।

হরিয়ানার রোহতকে জাঠ বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে মোটরবাইকে। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৭:৩৩
Share: Save:

জাঠ বিক্ষোভে উত্তাল হরিয়ানা। সংরক্ষণের দাবিতে পথে নামা আন্দোলনকারীরা আগুন ধরিয়ে দিল রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অভিমন্যুর বাড়িতে। রাজ্যজুড়ে চলল বিক্ষোভ, অবরোধ। অগ্নিসংযোগ হল পুলিশের গাড়িতেও। রোহতকে পুলিশের গুলিতে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। বিভিন্ন জেলায় রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু হওয়ায় পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে।

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী জাঠ সংরক্ষণ আন্দোলন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু এক দিকে রাজ্যের সচিবালয়ে যখন বৈঠক চলছে, তখন বিক্ষোভের আগুন ক্রমশ ছড়াতে থাকে একের পর এক জেলায়। রোহতকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অভিমন্যুর বাড়িতে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্ত্রী তখন রাজধানী চণ্ডীগড়ে থাকলেও তাঁর পরিবার রোহতকের বাড়িতেই ছিল। পুলিশ মন্ত্রীর পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিতে ১ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। জখম ৮ জন। আন্দোলনে পুলিশি গুলিচালনার খবর ছড়াতেই আরও উত্তাল হয়েছে হরিয়ানা। রাজ্যজুড়ে শুরু হওয়া অবরোধের জেরে খাদ্যদ্রব্য, সব্জি, দুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহও থমকে গিয়েছে।

আরও পড়ুন:

গণতন্ত্রের ‘সর্বনাশ’ রুখতে রাষ্ট্রপতির কাছে রাহুল গাঁধী

সংরক্ষণের দাবিতে জাঠদের বিক্ষোভ বৃহস্পতিবার থেকেই হিংসাত্মক হতে শুরু করেছিল। রোহতকে দফায় দফায় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের পর মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবারই জাঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রফাসূত্র না মেলায় বিক্ষোভ আরও ছড়াতে থাকে। রোহতক ছাড়িয়ে কর্নাল, ঝিন্দ এবং কৈথল জেলায় বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংযোগ কেটে দেওয়া যাবে বলে প্রশাসন মনে করেছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। বিভিন্ন রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু হয়। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা অঘোষিত বন্‌ধের চেহারা নেওয়ায় খোলেনি অনেক স্কুল-কলেজও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE