জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তে জঙ্গিদের ড্রোনে অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করল বিএসএফ। পাকিস্তানি ড্রোনের ফেলে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় গুলিতে এক জঙ্গি গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ধৃত সদস্য, মহম্মদ আলি হুসেন ওরফে কাশিম ওরফে জাহাঙ্গিরের সূত্র ধরেই জম্মু সীমান্তে পাক ড্রোনের অস্ত্র সরবরাহের খবর মিলেছিল। এর পর বুধবার ওই জঙ্গিকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পরে আচমকাই ওই জঙ্গি এক জওয়ানের রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। বিএসএফের তরফে গুলি চালানো হলে ওই জঙ্গি গুরুতর জখম হন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এডিজি মুকেশ কুমার সিংহ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪০ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগজিন-সহ একটি একে-৪৭ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, ১০ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগজিন-সহ একটি পিস্তল এবং দু’টি গ্রেনেড।’’
প্রসঙ্গত, উপত্যকায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে গত তিন বছর ধরে পাকিস্তান ড্রোন ব্যবহার করে চলেছে বলে অভিযোগ। আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) সীমান্তে পাক ড্রোনের হানাদারি রুখতে ভারতীয় সেনা প্রায় ৮৫ বছরের পুরনো বফর্স এল-৭০ বিমান বিধ্বংসী কামানগুলি মেরামতি ও আধুনিকীকরণ করা হয়েছে।