দেড় বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন অমিত ও মমতা।
জামাই নিচু জাত। তাই প্রথম থেকেই শ্বশুর-শাশুড়ির চক্ষুশূল ছিলেন তিনি। মেয়ের বিয়েতে তাই মতও ছিল না বাবা-মায়ের। তবু পরিবারের অমতে গিয়েই দেড় বছর আগে ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে সংসার পেতেছিলেন বছর তিরিশের মমতা চৌধুরী। কিন্তু, নিজের বাবা-মায়ের হাতে চোখের সামনেই ভেঙে গেল তাঁর সেই ভালবাসার সংসার।
কেরলের বাসিন্দা ২৮ বছরের অমিত নায়ারকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন রাজস্থানী জাঠ পরিবারের মেয়ে মমতা। মেয়ে নিচু সম্প্রদায়ে বিয়ে করায় প্রথম থেকেই সেই সম্পর্ক মানতে নারাজ ছিলেন মমতার বাবা জীবনরাম চৌধুরী এবং তাঁর স্ত্রী। পরিবারের বিপক্ষে গিয়েই বছর দেড়েক আগে জয়পুরে গিয়ে অমিতকে বিয়ে করেছিলেন মমতা। কর্মসূত্রে দু’জনে একসঙ্গে জয়পুরেই থাকতেন। মমতা এখন ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
বুধবার মেয়েকে দেখতে হঠাৎ জয়পুরে মেয়ের বাড়ি এসে হাজির হন জীবনরাম চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী।। মমতা-অমিতও খুশি হয়েছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন হয়তো সমস্ত বিরোধ মিটমাট করে নিতেই এসেছেন ওঁরা।
আরও পড়ুন: স্বামীকে মারছে প্রেমিক, ‘লাইভ’ শুনল স্ত্রী
কিন্তু, ভুল ভাঙে কিছু ক্ষণের মধ্যেই। মেয়ের বাড়ি এসে প্রথমে চা খান চৌধুরি দম্পতি। এর পরেই মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। বাধা দিতে এগিয়ে আসেন অমিত। এই সময় হঠাৎই অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢোকে দুই ব্যক্তি। মমতার দাবি, ওই দুই ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর বাবা-মা। এর পরেই মমতার চোখের সামনে পর পর চারটি গুলি ছোড়া হয় অমিতকে লক্ষ্য করে। সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি অমিতকে। চিকিৎসকরা জানান, ঘাড়ে ও বুকে গুলি বিঁধে অত্যধিক রক্তক্ষরণের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মমতা পুলিশকে জানান, ভিন্ন সম্প্রদায়ের অমিতকে কখনওই পছন্দ ছিল না তাঁর বাবা-মায়ের। বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসার জন্যও চাপ দিতেন তাঁরা। কিন্তু বদলা নিতে তাঁরা যে এমনটা করবেন তা ভাবতে পারেননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy