সরকারের একটি অংশ চাইলেও, ইস্তফা প্রশ্নে অনড় জহর সরকার। মেয়াদ ফুরানোর চার মাস আগেই চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডুর সঙ্গে দেখা করে নিজের পদত্যাগপত্র দিয়ে এসেছিলেন প্রসার ভারতীর সিইও। এরপর সরকারের একটি অংশ থেকে জহরের থেকে যাওয়ার বা অন্য কোনও সাংবিধানিক পদে বসানোর বিষয়েও নানা ভাবে বার্তা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু কাল ফের বেঙ্কাইয়ার সঙ্গে দেখা করে জহরবাবু স্পষ্ট করে দেন যে, ইস্তফা প্রশ্নে তাঁর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সূত্রের খবর, কাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করে ওই একই কথা জানিয়ে এসেছেন তিনি।
সামনের মাসে প্রসার ভারতীর বোর্ড মিটিংয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। সরকার চাইছিল জহরবাবু বৈঠকে থেকে সিদ্ধান্তগুলো পাশ করিয়ে নিন। না হলে বিরোধীরা বলবে, নিজেদের পছন্দের লোককে বসিয়ে সিদ্ধান্ত পাশ করাতেই সরকার জহরবাবুকে জোর করে সরিয়ে দিয়েছে। মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌরও সম্প্রতি জহরবাবুকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান। কিন্তু কাল বেঙ্কাইয়া নায়ডুর সঙ্গে দেখা করে জহরবাবু জানিয়ে দেন, ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নয়। কোনও ধরনের সমঝোতায় যেতে তিনি রাজি নন। জহরবাবুর ওই বক্তব্যের পরে ইস্তফার বিষয়টি নিয়ে সরকার খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে বলেই বেঙ্কাইয়ার মন্ত্রক সূত্রে খবর।
পরে পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের ওই আমলাকে বেঙ্কাইয়া জানান, জহরবাবু চিরদিনই মাথা উঁচু করে কাজ করেছেন। বিদায়ও নিচ্ছেন মাথা উঁচু করে। জহরবাবুর বিদায়ী অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন বেঙ্কাইয়া। মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রসার ভারতীর চেয়ারম্যান তথা সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ সূর্য প্রকাশের সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই আগাম ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন জহরবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy