উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম দিনই বিচারবিভাগকে নিশানা করেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। আজ তিনি ফের বিধানসভার স্পিকারদের সম্মেলনে তা-ই করলেন।
আজ তিনি বলেছেন, ১৯৭৩ সালে কেশবানন্দ ভারতী মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ই একটি ‘খারাপ নজির’। কারণ ওই রায়েই সুপ্রিম কোর্ট প্রথম সংবিধানের মূল কাঠামোর কথা বলে। বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইন সেই মূল কাঠামোর বিরুদ্ধে বলেই সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। অথচ সংসদে কার্যত সর্বসম্মতিতে ওই বিল পাশ হয়েছিল। সিংহভাগ রাজ্যের বিধানসভাও তাতে অনুমোদন দিয়েছিল। ধনখড় বলেন, “আমি ওই রায়ের সঙ্গে একমত নই। সংবিধানের মূল কাঠামোর কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট একাধিক আইন খারিজ করে দিয়েছে। এতে সংসদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করা হয়েছে। যে কোনও মূল কাঠামোর মূল হল মানুষের রায়। তাই সংসদ বা বিধানসভার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা যায় না।’’ সুপ্রিম কোর্টের শীর্ষস্তরের দিকে ইঙ্গিত করে ধনখড় বলেন, আইনসভা, প্রশাসন, বিচারবিভাগ প্রত্যেকের নিজের গণ্ডির মধ্যে থাকা উচিত। লোক দেখানো অবস্থান নেওয়া, নিজেদের বেশি বুদ্ধিমান বলে দেখানো উচিত নয়।
মঙ্গলবারই ধনখড়ের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা বৈঠক করেছিলেন। সনিয়া গান্ধী আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন, হিসেব কষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে একজন সাংবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তিকেও বিচারবিভাগকে নিশানা করার জন্য মাঠে নামানো হয়েছে। রাজ্যসভার পরে এ বার স্পিকারদের সম্মেলনে ধনখড় একই প্রসঙ্গ তোলায় রাজনৈতিক শিবিরে প্রশ্ন উঠেছে, মোদী সরকার কি বিচারপতি নিয়োগে নতুন ব্যবস্থা তৈরির ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে?
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা জয়পুরে এই সম্মেলনে বলেন, বিচার-বিভাগের উচিত আইনসভার গরিমাকে সম্মান করা। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy