E-Paper

ভাগবতের উল্টো সুর সঙ্ঘ মুখপত্রে

সঙ্ঘের মুখপত্রের পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদও আজ হিন্দুসমাজকে জাগিয়ে তুলতে আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে দেশ জুড়ে মন্দির সংক্রান্ত আন্দোলনে নামতে বলেছে।

মোহন ভাগবত।

মোহন ভাগবত। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:০০
Share
Save

সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত মন্দির-মসজিদ বিতর্কে অন্তত প্রকাশ্যে ইতি টানতে চাইলেও, আরএসএস পরিচালিত মুখপত্র অর্গানাইজ়ার-এর পাতায় ভিন্ন সুর। সঙ্ঘের ওই পত্রিকার সর্বশেষ সংস্করণে বলা হয়েছে, সভ্যতা সংক্রান্ত ন্যায়বিচারের জন্য বিতর্কিত স্থল ও কাঠামোর প্রকৃত ইতিহাস জানা প্রয়োজন রয়েছে। সঙ্ঘের মুখপত্রের পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদও আজ হিন্দুসমাজকে জাগিয়ে তুলতে আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে দেশ জুড়ে মন্দির সংক্রান্ত আন্দোলনে নামতে বলেছে। আন্দোলনের দাবি, দেশের সমস্ত হিন্দু মন্দিরের পরিচালনভার সরকারের পরিবর্তে মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে হবে।

সম্ভল-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে ভাবে মন্দির-মসজিদ বিতর্ক সামনে আসতে শুরু করেছে, তাতে গত সপ্তাহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ভাগবত। পরিসংখ্যান বলছে, কেবল উত্তরপ্রদেশেই বিবাদিত কাঠামো সংক্রান্ত পঞ্চাশটি মামলা ঝুলে আছে। এ ভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাবে বুঝেই ২০২২ সালে আরএসএসের অনুষ্ঠানে ভাগবত বলেছিলেন, সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খুঁজতে যাওয়ার কী প্রয়োজন! সূত্রের মতে, চলতি মাসে সম্ভল-বিতর্ক আদৌ ভাল ভাবে নেননি সঙ্ঘ প্রধান। যদিও সঙ্ঘের মুখপত্র এ ক্ষেত্রে ভিন্ন অবস্থান নিয়ে প্রচ্ছদ কাহিনি করেছে সম্ভল নিয়ে। যাতে বলা হয়েছে, বিতর্কিত পূজাস্থলকে মুক্ত করাতে আইনি আবেদন করায় ভুল নেই। সংবিধান সে অধিকার দিয়েছে।

প্রচ্ছদে সম্ভল প্রসঙ্গে আরও দাবি করা হয়েছে, আজ যেখানে শাহি জামা মসজিদ রয়েছে, সেখানে অতীতে হরিহর মন্দির ছিল। বিষয়টি বাছার কারণ ব্যাখ্যায় সভ্যতা সংক্রান্ত ন্যায়বিচারের যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক ভাবে হামলা ও ধ্বংসের শিকার হওয়া ধর্মীয় স্থানগুলি সম্পর্কে সত্য জানা গুরুত্বপূর্ণ। নিবন্ধ বলছে, কোথায় কী অন্যায় হয়েছে, তা জানার অধিকার বর্তমান প্রজন্মের রয়েছে। সভ্যতাগত ন্যায়বিচার ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ইতিহাস জানা প্রয়োজন। বলা হয়েছে, অতীতে মুসলিমরা যে মূর্তি পুজোর বিরোধিতা করে এসেছে বা ধর্মীয় আধিপত্যবাদ নীতি নিয়েছেন, তা থেকে তাঁদের সরিয়ে আনা সম্ভব হলেই শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পথে হাঁটা সম্ভব। তাই (মন্দির ভাঙার) ঐতিহাসিক সত্য অস্বীকার করা ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করা হয়েছে। সুর চড়িয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, অযোধ্যার পরে কাশী ও মথুরার বিতর্কিত কাঠামো উদ্ধার সংগঠনের কার্যসূচিতে রয়েছে। কিন্তু দেশের বাকি বিতর্কিত কাঠামো উদ্ধারে আমজনতা এগিয়ে এলে নৈতিক সমর্থন থাকবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mohan Bhagwat BHP

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।