ওয়েলনেস গুরু কল্কি ভগবানের কোথায় কত সম্পত্তি আছে, তার সন্ধান করতে গিয়ে চোখ কপালে উঠছে আয়কর কর্তাদেরও। শুধু ভারতীয় টাকাই নয়, কল্কি ভগবানের ছেলের সংস্থায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলার উদ্ধার করল আয়কর দফতর। সোমবার একাধিক অফিসে হানা দিয়ে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় টাকার পরিমাণ ৪৪ কোটি। মার্কিন ডলার মিলেছে ২০ কোটি।
শুরু হয়েছিল শনিবার। আয়কর ফাঁকি এবং আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে বিজয় কুমার ওরফে কল্কি ভগবানের একাধিক ডেরায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে আয়কর দফতর। ওই দিন উদ্ধার হয় হিসাব বহির্ভূত নগদ ৯৩ কোটি টাকা। তার সঙ্গে সোনা, হিরে ও মূল্যবান ধাতু ও পাথর মিলিয়ে উদ্ধার হয় প্রায় ৪০৯ কোটি টাকার সম্পত্তি। কিন্তু তার পরেও আয়কর কর্তাদের আতস কাচের নীচে থেকে সরেনি কল্কি ভগবানের বেআইনি সম্পত্তি।
সোমবার সকাল থেকেই ফের অভিযান শুরু করেন আয়কর দফতরের গোয়েন্দারা। কল্কি ভগবানের ছেলের সংস্থা হোয়াইট লোটাসের চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চিত্তুর এবং কুপ্পমের অফিসে দিনভর চলে তল্লাশি। সব অফিস থেকেই উদ্ধার হতে থাকে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা।
দিনের শেষে আয়কর কর্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৪৪ কোটি টাকা। মার্কিন ডলার পাওয়া গিয়েছে ২০ কোটির। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ১৪১ কোটি ৭৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও ৯০ কেজি সোনা। বাজার দর হিসেবে তার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ কোটির সম্পত্তি।
Income Tax Department seized Rs 44 crore in cash, Rs 20 crore worth USD and 90 kgs of gold during search conducted on properties of 'White Lotus' owned by son of Wellness Guru, Kalki Bhagwan in Chennai, Hyderabad, Bengaluru, Chittoor and Kuppam. pic.twitter.com/RuFTg2ppf6
— ANI (@ANI) October 21, 2019
আরও পড়ুন: আয়কর দফতরের তল্লাশি, উদ্ধার ‘কল্কি ভগবান’-এর ৪০৯ কোটি টাকা
আরও পড়ুন: এত নোবেল কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি: নাম না করে ফের বিজেপিকে কটাক্ষ মমতার
সামান্য এলআইসি-র ক্লার্ক থেকে ধীরে ধীরে ‘ওয়েলনেস গুরু’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন তামিলনাড়ুর ভেলোরের বাসিন্দা বিজয় কুমার। ‘ওয়াননেস’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও খুলে ফেলেন। পাশাপাশি তিনি নিজেকে কৃষ্ণের দশম অবতার হিসেবে ঘোষণা করেন এবং সেই অনুযায়ীই নাম নেন ‘কল্কি ভগবান’। দেশ বিদেশে প্রচুর সেলিব্রিটি, বিত্তশালীরা তাঁর শিষ্য হয়ে ওঠেন। সেই সূত্রেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর আশ্রম রয়েছে। কিন্তু সেই সব আশ্রম বা প্রতিষ্ঠানে অনুদান বা অন্য ভাবে আয় হত, তার সিংহভাগই রিটার্নে দেখানো হত না বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ যে নেহাত অভিযোগ নেই, বরং যথেষ্ট সারবত্তা রয়েছে, আয়করের প্রাথমিক অভিযানে তার প্রমাণ মিলতে শুরু করেছে।