Advertisement
E-Paper

গাড়ি থেকে মিছিলের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার জেরে এক ব্যবসায়ীর গাড়িতে ভাঙচুর চালায় ক্ষিপ্ত জনতা। মারধর করা হয় গাড়িতে থাকা লোকজনকে। এর জেরে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে থাকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের কলকাতার দিকে যাওয়ার লেন।

আগ্নেয়াস্ত্র তাক করার অভিযোগ।

আগ্নেয়াস্ত্র তাক করার অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৫৫
Share
Save

একটি সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া লোকজনের দিকে গাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করার
অভিযোগকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বেধে গেল কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গরফা মোড়ের কাছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনার জেরে এক ব্যবসায়ীর গাড়িতে ভাঙচুর চালায় ক্ষিপ্ত
জনতা। মারধর করা হয় গাড়িতে থাকা লোকজনকে। এর জেরে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে থাকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের কলকাতার দিকে যাওয়ার লেন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী
ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে কলকাতার পার্ক সার্কাসে ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে হাওড়ার খেজুরতলা থেকে কয়েকশো মানুষ ভ্যান ও বিভিন্ন গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। পুলিশ জানায়, ওই সময়ে একটি গাড়িতে দু’জন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে কলকাতায় ব্যবসার কাজে আসছিলেন আসানসোলের এক ব্যবসায়ী দীনেশ গড়াই। তাঁর ব্যক্তিগত দুই নিরাপত্তারক্ষীর কাছে
ওয়াকিটকি ও রিভলভার ছিল। সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া লোকজনের অভিযোগ,
ব্যবসায়ীর গাড়িটি যাতে এগিয়ে যেতে পারে, সে জন্য তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের দিকে রিভলভার তাক করেন। আর এর পরেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায়। অভিযোগ, ক্ষিপ্ত জনতা ওই ব্যবসায়ীর গাড়িতে উঠে ভাঙচুর চালায়। ভেঙে দেওয়া হয় উইন্ডস্ক্রিনের কাচ।
গাড়িচালক ও নিরাপত্তাকর্মীদের এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষিও মারা হয়। গাড়ির বনেটের উপরেও উঠে পড়েন অনেকে।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শেখ আফসার বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য করে ওই নিরাপত্তারক্ষীরা রিভলভার তাক করে গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জায়গা চাইছিলেন। তাই সবার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তবে আমাদের মধ্যে কেউ মারধর বা ভাঙচুর করেনি।’’

হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ সময় মতো গিয়ে ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

firearm Kona Expressway

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}